ঠেক ভাঙার পর পড়ে রয়েছে চোলাইয়ের জার। নিজস্ব চিত্র।
এলাকায় জোর কদমে চলছে চোলাই বিক্রি। গজিয়ে উঠেছে পরের পর ঠেক। উলুবেড়িয়ার কাঠিলায় চোলাই ঠেকের এমন বাড়বাড়ন্ত নিয়ে বহুবার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এলাকাবাসীর ক্ষোভ, পুলিশ বা আবগারি দফতর নামমাত্র অভিযান চালায়। তাই সোমবার সন্ধ্যায় এলাকার কয়েকটি ঠেক ভেঙে দিলেন মহিলারাই। পাশাপাশি কয়েকটি বাড়ি তল্লাশি করে চোলাই মদের ফাঁকা জারও উদ্ধার করা হয়।
মহিলারাদের ক্ষোভ, বাড়ির পুরুষদের রোজগারের বেশির ভাগটাই উড়ে যায় চোলাইয়ের পিছনে। অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে পুরুষেরা অসুস্থও হয়ে পড়ছেন। অল্প বয়সে মারা যাচ্ছেন। মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে অশান্তি করছেন। এক মহিলার কথায়, ‘‘গ্রামের মধ্যে তিনটি পরিবার এই চোলাইয়ের ব্যবসা করে। বাড়ি থেকে তো বিক্রি হয়ই। আবার সাইকেলে করে পাড়ায় পাড়ায় বিক্রি করে ওরা। পুলিশ সব জানে। নামমাত্র অভিযান করে। তারপর যে কে সেই।’’
অন্য এক মহিলা বলেন, ‘‘সংসার আর নিজেদের বাঁচাতে আমরা মেয়েরাই ঠিক করেছি, এই ঠেক যতবার হবে, ভেঙে দেব। ওই পরিবারগুলিকে সতর্ক করে দিয়ে আসা হয়েছে। এরপরেও যদি মদ বিক্রি হয়, তাহলে বড় আন্দোলন হবে।’’
উলুবেড়িয়ার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রিনা দত্ত দাস বলেন, ‘‘পাড়ার মধ্যে চোলাই মদের ঠেক, বরদাস্ত করা যাবে না। মহিলারা যে জোট বেঁধে সাহস করে ঠেক ভেঙেছেন, সেটাই বড় কথা। পুলিশকে ওই এলাকায় বেশি করে অভিযান চালানোর জন্য বলা হয়েছে। এরপরেও যদি ওখানে চোলাই বিক্রি হয়, তাহলে ওই মহিলাদের সঙ্গে আমিও
যোগ দেব।’’
হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘চোলাই বিক্রি রুখতে পুলিশ ও আবগারি দফতর সব সময় ঠেকগুলোতে হানা দেয়। এরপরেও পুলিশের চোখ এড়িয়ে যদি বিক্রি চলে, তা হলে নজরদারি
বাড়ানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy