এ ভাবেই চলে পারাপার। নিজস্ব চিত্র
কুলিয়া সেতু নিয়ে জটিলতা কাটছে না কিছুতেই।
আমতা-২ ব্লকের মুণ্ডেশ্বরী নদীর উপর কুলিয়া ঘাটে পাকা সেতুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য পূর্ত দফতর। এর জন্য জমি অধিগ্রহণ শেষে। বরাদ্দ হয়েছে টাকাও। কিন্তু কাজ শুরু হয়নি। পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, নয়া এক জটিলতার জন্য টেন্ডারে যোগ দিচ্ছে না ঠিকা সংস্থাগুলি।
কী সেই জটিলতা?
আমতা-২ ব্লকের ভাটোরা ও ঘোড়াবেড়িয়া-চিৎনান পঞ্চায়েত এলাকা জেলার ‘দ্বীপাঞ্চল’ নামে পরিচিত। সেতুটি যেখানে হবে সেই কুলিয়া ঘাটের একটি দিক জেলার মূল ভূখণ্ডে হলেও অন্য প্রান্তটি রয়েছে সেই দ্বীপাঞ্চলেই। ওই এলাকায় পৌঁছনোর বিকল্প কোনও পথ নেই। ভরসা নদীপথ। এই অবস্থায় সেতু তৈরির সময় ভারী যন্ত্রপাতি এবং ইমারতি দ্রব্য নিয়ে যেতে সমস্যার কথা জানিয়েছে ঠিকা সংস্থাগুলি। শুধু তাই নয়, সেগুলির পরিবহণ খাতে যত খরচ হবে, তা বরাদ্দ থেকে অনেক বেশি বলেই দাবি তাদের। কুলিয়া সেতুর জন্য ইতিমধ্যে তিন বার টেন্ডার ডাকা হয়েছে। কিন্তু এই সমস্যার কথা উল্লেখ করেই কোনও ঠিকা সংস্থা যোগদেয়নি টেন্ডারে।
রাজ্য পূর্ত দফতরের এক পদস্থ কর্তা অবশ্য জানান, সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে। প্রয়োজনে মালপত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি অস্থায়ী সেতু বানানো হবে। তাঁর কথায়, ‘‘কাজের জন্য রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন একটি ঠিকা সংস্থার সাথে কথাবার্তা চলছে। দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে।’’
কুলিয়া সেতু হলে ভাটোরা ও ঘোড়াবেড়িয়া-চিৎনান পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা সরাসরি জেলার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগ করতে পারবেন। তাই এই সেতুর দাবি বহুদিনের। ২০০৬ সালে সেতুটির শিলান্যাস হয়। তখন জেলা পরিষদের হাতে সেতুর দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারা কাজটি করতে পারেনি। ২০১৭ সালে মুখ্যমন্ত্রীমমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাজের দায়িত্ব দেন পূর্ত দফতরকে। বরাদ্দ করা হয় ২৪ কোটি টাকা। সেই কাজে এমনদেরি নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। তবে আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল বলেন, ‘‘আমরা পূর্ত দফতরের কাছে অনুরোধ করেছি দ্রুত সেতুর কাজ শুরু করার জন্য।’’ চলতি বছরেইসেতুর কাজ শুরুর আশ্বাস দিয়েছেন পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়ও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy