নবান্ন।
পঞ্চায়েত স্তরে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে পরিষেবা দেওয়া নিয়ে গাফিলতি বা দুর্নীতির ভূরি ভূরি অভিযোগ ওঠে। সেই সব অভিযোগ কোথায় জানালে সুরাহা মিলবে, আদৌ মিলবে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় থাকেন ভুক্তভোগীরা। এ বার অভিযোগ জানাতে এবং তার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে নতুন পোর্টাল চালু করছে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর। পোর্টালের নাম ‘পঞ্চায়েত পাবলিক গ্রিভান্স রিড্রেসাল সিস্টেম’।
গত মঙ্গলবার ওই দফতর থেকে এই নির্দেশিকা জেলায় পাঠানো হয়। হুগলি জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্য জানান, এই পোর্টাল আগামী বৃহস্পতিবার চালু হচ্ছে। জেলায় তা কার্যকর করতে বিভিন্ন স্তরে প্রশিক্ষণ-সহ যাবতীয় প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘পোর্টালের উদ্দেশ্য, যত দ্রুত সম্ভব, ন্যায্য এবং সহানুভূতিশীল পদ্ধতিতে অভিযোগের নিষ্পত্তি করা। অভিযোগ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কারা দায়বদ্ধ থাকবেন, তাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।’’
জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পোর্টালে ২৪ ঘণ্টাই যে কেউ অভিযোগ জানাতে পারবেন। অভিযোগ কী অবস্থায় আছে বা তার ফলাফল জানতে পারবেন। ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রতিটি স্তরে নোডাল অফিসার নিয়োগ হচ্ছে। অভিযোগের নিষ্পত্তিতে তাঁরাই দায়বদ্ধ থাকবেন। যেমন, পঞ্চায়েত স্তরে এই দায় বর্তাবে নির্বাহী সহায়কের উপরে। তিনি না থাকলে সচিব। ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতিতে যুগ্ম বিডিও। জেলায় জেলা পরিষদের সচিব বা সহকারী সচিব। এ ছাড়া, ১০০ দিনের প্রকল্পের ক্ষেত্রে জেলা নোডাল অফিসার, আনন্দধারা-র জেলা আধিকারিক, গ্রাম সড়ক যোজনা, নির্মল বাংলা এবং গ্রামোন্নয়ন দফতরের আধিকারিক দায়বদ্ধ থাকবেন।
নাগরিক পরিষেবার ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে অভিযোগ জানানোর জন্য ২০১৬ সালে রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রাতিষ্ঠানিক স্বশক্তিকরণ প্রকল্পের আওতায় ‘পঞ্চায়েত প্রতিকার’ নামে একটি ব্যবস্থা চালু হয়। তাতে অনলাইনে, টোল-ফ্রি নম্বরে অথবা লিখিত ভাবে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা ছিল। বলা হয়েছিল, রাজ্য, জেলা এবং ব্লক স্তরে তিনটি পৃথক কমিটি অভিযোগের নিষ্পত্তি করবে ২ থেকে ৭ দিনের মধ্যে। কিন্তু এই ব্যবস্থা কাজে আসেনি।
সরকারি আধিকারিকদের মধ্যে গুঞ্জন, এখন বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল নানা জায়গায় বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতির সন্ধান পাচ্ছে। টাকাও উদ্ধার করছে। এমনকি, দায়বদ্ধ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ করার ব্যাপারে চাপ দিচ্ছে। প্রশাসনকে এ নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। এই পরিস্থিতির কারণেই সরকারি প্রকল্পে স্বচ্ছতা আনতে নাগরিকদের অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার ব্যবস্থা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy