নতুন আদলে খালোড় পঞ্চায়েত অফিস। নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত কার্যালয় না কর্পোরেট অফিস!
প্রধান ও উপপ্রধানের আলাদা ঘর। নির্বাহী সহকারী, সচিব, নির্মাণ সহায়ক-সহ পঞ্চায়েতের সব ধরনের আধিকারিক এবং কর্মীদের জন্য আলাদা কিউবিকল। পঞ্চায়েতে যাঁরা বিভিন্ন প্রয়োজনে আসবেন, তাঁদের অপেক্ষা করার জন্য সুদৃশ্য চেয়ার পাতা হয়েছে। গড়া হয়েছে বিশাল কনফারেন্স রুম।
২০১২ সালে বামেদের হাতে থাকাকালীন বাগনান ১ ব্লকের খালোড় গ্রাম পঞ্চায়েতটির নতুন করে নির্মাণ শুরু হয়েছিল। আধুনিক সুযোগ-সুবিধাযুক্ত ঝাঁ চকচকে তিন হাজার বর্গফুটের নতুন সেই পঞ্চায়েত কার্যালয়ের উদ্বোধন হল বুধবার। উদ্বোধন করে বাগনানের বিধায়ক অরুণাভ সেন বলেন, ‘‘যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে খালোড় পঞ্চায়েত সঠিক পদক্ষেপ করেছে। এখন কর্পোরেট যুগ। নানা কাজ নিয়ে যাঁরা এখানে আসবেন তাঁরা মানসিক প্রশান্তি পাবেন। আমার বিধানসভা কেন্দ্রে যে সব পঞ্চায়েত আছে, তাদের সকলকে বলেছি খালোড়কে যেন তারা মডেল হিসাবে নেয়।’’
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, এটি তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৮৫ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে যেমন কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশন, রাজ্য অর্থ কমিশন, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের টাকা আছে, তেমনই আছে পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিলের ১২ লক্ষ টাকা। প্রধান আলেয়া মির বলেন, ‘‘সরকারের বিভিন্ন তহবিলের টাকার সঙ্গে আমাদের নিজস্ব তহবিলের টাকা মিলিয়ে মনের মতো করে পঞ্চায়েত কার্যালয়টি গড়ে তুলতে পেরেছি।’’
পঞ্চায়েতের পুরনো কার্যালয়টি ছিল সঙ্কীর্ণ। ফলে আধিকারিক, কর্মীদের বসার জায়গা নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। বিভিন্ন প্রয়োজনে যাঁরা এখানে আসতেন, তাঁরাও সমস্যায় পড়ছিলেন। তাই বামেদের বোর্ড থাকাকালীন ২০১২-তে নতুন কার্যালয় নির্মাণ শুরু হয়। বাম আমলেই সরকারি জমিতে পঞ্চায়েতের নিজস্ব আয় বাড়ানোর জন্য একটি সাইকেল ও মোটরবাইক জমা রাখার ঘর তৈরি করা হয়েছিল। তারই ছাদে শুরু হয় নতুন পঞ্চায়েত কার্যালয়ের নির্মাণকাজ। ২০১৩-তে বামেদের হারিয়ে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। তারাও নির্মাণকাজ জারি রাখে। ২০২১ সাল থেকে কাজ গতি পায়।
শুধু তাই নয়, বাম আমলে পঞ্চায়েতের নিজস্ব আয় বাড়ানোর যে প্রক্রিয়া জারি ছিল, তা অব্যাহত রাখা হয় তৃণমূল আমলেও। একটি গাড়ি জমা রাখার ঘর এবং অনুষ্ঠানে ভাড়া দেওয়ার জন্য হলঘর করা হয় তৃণমূলের আমলেই। এই মুহূর্তে বাগনান ১ এবং ২ ব্লক মিলিয়ে মোট ১৭টি পঞ্চায়েতের মধ্যে খালোড় পঞ্চায়েতের আয় সব থেকে বেশি বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে তাদের নিজস্ব আয় ছিল ৪০ লক্ষ টাকা। এই টাকায় নানা উন্নয়নমূলক কাজও করে এই পঞ্চায়েত।
বিধায়ক বলেন, ‘‘এই পঞ্চায়েতে উন্নয়নের ক্ষেত্রে দল দেখা হয় না। তাই বাম আমলে যে যে ভাল কাজ হয়েছে তার ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy