পড়াশোনার জন্য কন্যাশ্রী-সহ যাবতীয় সুবিধা যাতে নির্যাতিতা পায়, তা দেখার প্রতিশ্রুতি দেন সুদেষ্ণা। — ফাইল ছবি।
রাজ্য শিশু রক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায় শ্যামপুরের দশম শ্রেণির ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন। বৃহস্পতিবার নিহতের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পড়াশোনার জন্য কন্যাশ্রী-সহ যাবতীয় সুবিধা যাতে নির্যাতিতা পায়, তা দেখার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। ওই পরিবারের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শ্যামপুরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সুদেষ্ণা বলেন, ‘‘ধৃতেরা যাতে কঠোর শাস্তি পায়, সেই দিকটা দেখবে পুলিশ।’’ এলাকার রাস্তাঘাট অন্ধকার থাকে বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি এ বিষয়ে পদক্ষেপ করার সুপারিশ করবেন বলেও জানান সুদেষ্ণা। তাঁর কাছে নিহতের স্ত্রী ন্যায় বিচারের পাশাপাশি দোষীরা যাতে যাবজ্জীবন জেলে থাকে সেই দাবিও জানিয়েছেন। সুদেষ্ণার কাছে আর্থিক সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি।
গত রবিবার সন্ধ্যায় কোচিং থেকে সাইকেলে চেপে ফিরছিল দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী। অভিযোগ, বাড়ি ফেরার পথে তার রাস্তা আটকায় এলাকার তিন যুবক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বাবা। মেয়েকে কটূক্তি করার প্রতিবাদ করলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে প্রথমে এলাকার গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে। সোমবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের বিরুদ্ধে খুন এবং পকসো আইন-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy