E-Paper

দরপত্র নিয়ে অনিয়ম, আটকে মাদ্রাসার প্রাচীর তৈরির কাজ

বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে একাধিকবার দরবার করেও কাজটা ঝুলে আছে। নতুন করে আর দরপত্র ডাকা হচ্ছে না।

বড়দিগরুই মাদ্রাসা কেন্দ্রের মাঠে চরছে গবাদি পশু।

বড়দিগরুই মাদ্রাসা কেন্দ্রের মাঠে চরছে গবাদি পশু। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৪ ০৯:৪৮
Share
Save

প্রায় ২৯ বছর আগে পুরশুড়ার শ্যামপুর পঞ্চায়েতের বড়দিগরুই গ্রামে তৈরি হয়েছিল একটি মাদ্রাসা। সেখানে প্রাচীর নির্মাণের জন্য গত লোকসভা ভোটের মাস কয়েক আগে সাংসদ তহবিল থেকে টাকা বরাদ্দও হয়। কিন্তু কোথায় প্রাচীর! তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের দরপত্র ডাকায় অনিয়মকে কেন্দ্র করে কাজটি আটকে আছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর। ওই প্রাচীরের দাবি তাঁদের দীর্ঘদিনের।

‘বড়দিগরুই মাদ্রাসা কেন্দ্র’ নামে ওই উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষাকেন্দ্রের প্রধন শিক্ষক শেখ আবু কালামের অভিযোগ, “প্রাচীর নির্মাণে দরপত্রের নিষ্পত্তির পরেও কিছু একটা গোলমালে তা বাতিল হয়েছে বলে পঞ্চায়েত থেকে জেনেছি। বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে একাধিকবার দরবার করেও কাজটা ঝুলে আছে। নতুন করে আর দরপত্র ডাকা হচ্ছে না। এ দিকে স্কুলটি ক্রমশ বহিরাগতদের অসামাজিক কারবার এবং ছাগল চরার জায়গা হয়ে যাচ্ছে।”

পঞ্চায়েত প্রধান রবীন মাজি বলেন, “আগের দরপত্র প্রক্রিয়ায় কিছু ত্রুটি ছিল। সেই দরপত্র বাতিল হয়েছে। নতুন করে দরপত্র ডাকার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কাজটা হবে।”

পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোট ঘোষণার মাস দেড়েক আগে মাদ্রাসার প্রাচীর নির্মাণে দরপত্র ডাকা হয়। সেই অনলাইন দরপত্রে মাত্র দু’জন ঠিকাদার শামিল হন। সর্বনিম্ন দর দেওয়া ঠিকাদারের নথিপত্র সে সময় কোনও কারণে অনলাইনে মিলছিল না বলে অন্যজনকে বরাত দেওয়া হয়। তাতে আপত্তি তুলে সর্বনিম্ন দর দেওয়া ঠিকাদার নিজের নথিপত্র প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট দরপত্র বাতিলের দাবি জানান। দরপত্রটি বাতিল হয়।

বাস্তবিকই, অরক্ষিত ওই শিক্ষাকেন্দ্রে গরু-ছাগল চরে। মাদ্রাসা চত্বরে লাগানো গাছপালা নষ্ট হচ্ছে। শ্রেণিকক্ষেও ঢুকে যাচ্ছে ছাগল। ছেলেদের খেলার মাঠ ভরেছে গরু-ছাগলের মলে। মাদ্রাসা ছুটির পরে বহিরাগত সমাজবিরোধীরা স্কুলের ট্যাপকল, আলো ভেঙে দিচ্ছে বলে স্কুল কর্তৃপক্ষর অভিযোগ। ওই মাদ্রাসায় ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১০০ জন।

স্কুল পরিচালন সমিতি এবং গ্রামবাসীরা জানান, পিছিয়ে পড়া এলাকার শিক্ষাকেন্দ্রটিকে বাঁচাতে সকলে মিলে তৎকালীন সাংসদের (অপরূপা পোদ্দার) সঙ্গে দফায় দফায় যোগাযোগ করেন। লোকসভা ভোট ঘোষণার মাস তিনেক আগে প্রাচীর নির্মাণে তহবিল অনুমোদন হয়। প্রকল্পটি রূপায়ণে পঞ্চায়েতকে দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে।

Pursura Madrasa

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়।

  • সঙ্গে পান রোজ আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই -পেপার পড়ার সুযোগ।

  • এখন না পড়তে পারলে পরে পড়ুন, 'সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে।

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

ক্যানসেল করতে পারবেন আপনার সুবিধামতো

SAVE 1%*
প্রতি বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
প্রতি মাসে

৪২৯

১৬৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।