ঢালাই রাস্তা বেহাল দশা। খানাকুলের ঘোষপুর ইউনিয়ন নেতাজি বিদ্যাপীঠ। নিজস্ব চিত্র।
গত বছরের শেষ দিকে ‘পথশ্রী’ প্রকল্পে খানাকুল ১ ব্লকের ঘোষপুর পঞ্চায়েতের ঘোষপুর সামন্তপাড়া থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর সীমানা তামিলপুকুর পর্যন্ত (মোট সাড়ে ৪ কিমি) বিস্তৃত মোরাম রাস্তাটি কংক্রিটের করা হয়েছিল। কিন্তু ছ’মাস পর থেকেই উপরের আস্তরণ উঠতে শুরু করে ওই রাস্তার প্রায় আড়াই কিমি অংশের। বর্তমানে স্টোনচিপস বেরিয়ে এসেছে রাস্তার ওই অংশে। রাস্তার এই হাল নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ-বিক্ষোভ বিস্তর। প্রশাসনের নানা স্তরে জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।
গ্রামবাসীদের সন্দেহ, নিম্নমানের সরঞ্জাম এবং ৬ ইঞ্চি পুরু করে ঢালাইয়ের বদলে দু’আড়াই ইঞ্চি ঢালাই হওয়াতেই রাস্তা ভাঙছে। ব্লক প্রশাসন এবং জেলা প্রশাসনের বাস্তুকাররা জানান, এই প্রকল্পের কাজ সরাসরি রাজ্যস্তর থেকেই হয়। বিষয়টি তাদের নজরে আনা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কাজটির দায়িত্বে থাকা সংস্থার বাস্তুকার অরিন্দম করের দাবি, “কাজে কোনও অনিয়মের প্রশ্ন নেই। বর্ষার জন্য রাস্তাটি নষ্ট হয়েছে। ওই অংশটি যে দিন নির্মাণ হয়, তার পরের দিনই প্রবল বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তাটির ক্ষতি হয়েছে। শীঘ্রই মেরামত করে দেওয়া হবে।”
পঞ্চায়েত এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্লাবনপ্রবণ এই অঞ্চলের মোরাম রাস্তাটি বারবার ভেঙে যাওয়ায় সেটি পাকা বা কংক্রিকেটর করার দাবি ছিল দীর্ঘ দিনের। গত বছর রাস্তাটি কংক্রিটের করার অনুমোদন মেলে। পঞ্চায়েত ও গ্রমোন্নয়ন দফতর থেকে প্রায় ২ কোটি টাকার ওই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয় সরকারি সংস্থা ‘ম্যাকিনটোস বার্ন’কে। কাজটি পুরোদমে শুরু হয় গত অক্টোবর
মাস নাগাদ।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বিপজ্জনক ভাবে বেরিয়ে থাকা স্টোনচিপসে প্রায়ই সাইকেলের চাকা ফুটো হচ্ছে। দুর্ঘটনাও ঘটছে। তাঁরা জানান, ওই রাস্তার মধ্যেই পড়ে হাই স্কুল, ডাকঘর, পাঠাগার, উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং একটি ধর্মস্থান। সর্বোপরি, দ্বারকেশ্বর নদ পার হয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর যাতায়াত সহজ হয় ওই রাস্তায়। কিন্ত এখন ভুগতে হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy