প্রতীকী ছবি।
হাওড়ার কদমতলায় সিইএসসি-র পাওয়ার হাউসের ট্রান্সফর্মারে আগুন লেগে আতঙ্ক ছড়াল বুধবার দুপুরে। আগুনের তাপে ট্রান্সফর্মারটি যে কোনও সময়ে ফেটে যেতে পারে, এই আশঙ্কায় আশপাশের বহুতলের বাসিন্দারা রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। আতঙ্ক ছড়ায় পাওয়ার হাউসের সামনে থাকা একটি স্কুলেও। তবে, দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিভিয়ে ফেলায় বড় বিপদ হয়নি। এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে মধ্য ও দক্ষিণ হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। বিকেল থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে পরিস্থিতি।
দমকল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ কদমতলায় সিইএসসি-র ১৩২ কেভি সাব-স্টেশনে বিকট আওয়াজ হয়। তার পরেই আগুন ও কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চার দিক। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় মধ্য ও দক্ষিণ হাওড়ার বিস্তীর্ণ অংশে। পাওয়ার হাউসের গা ঘেঁষে থাকা একটি বহুতলের এক বাসিন্দা অভিষেক দত্ত বলেন, ‘‘হঠাৎই পাওয়ার হাউস থেকে বিকট শব্দ শুনতে পেলাম। তার পরেই দেখি, আগুন ও কালো ধোঁয়া বেরোচ্ছে। পাওয়ার হাউসের ভিতরে থাকা ট্রান্সফর্মারটিতে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে, সেই ভয়ে আমরা রাস্তায় নেমে আসি।’’ স্থানীয়দের বক্তব্য, দ্রুত দমকলের তিনটি ইঞ্জিন এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করায় তা বেশি ছড়াতে পারেনি। প্রাথমিক তদন্তের পরে দমকলের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে এই অগ্নিকাণ্ড। তবে সিইএসসি সূত্রে জানা গিয়েছে, পাওয়ার হাউসের ভিতরে চারটি সুইচ গিয়ারে আগুন লাগে। এর ফলে বিভিন্ন এলাকায় থাকা ট্রান্সফর্মারে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে।
এ দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে হাওড়ায় সিইএসসি-র আধিকারিক রাজদীপ চন্দ বলেন, ‘‘আগুন লাগার পরেই ইঞ্জিনিয়ারেরা দ্রুত মেরামতির কাজ শুরু করেন। ফলে বিকেলের মধ্যে অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা গিয়েছে। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy