ভাঙার কাজ চলছে। নিজস্ব চিত্র।
বেআইনি ভাবে ফুটপাতের উপরে থাকা গুমটি সরানোর কাজে নামল উত্তরপাড়া পুরসভা। যন্ত্র দিয়ে ওই সব গুমটি সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার সকাল থেকে এই অভিযানে শামিল হন পুরপ্রধান দিলীপ যাদব-সহ কয়েক জন পুরসদস্য।
বালিখালের উপরে ১৭ এবং স্টেশন রোডের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে অভিযান চলে। অন্যান্য ওয়ার্ডেও অভিযান চলবে বলে পুর-কর্তৃপক্ষ জানান। এই উদ্যোগকে অনেকেই স্বাগত জানিয়েছেন। তবে, কেউ কেউ রুটিরুজির প্রশ্ন তুলেছেন। বিকল্প কোনও ব্যবস্থা না করে এই অভিযানের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিআইটিইউ এবং বিজেপি নেতৃত্ব। সরকারি জায়গায় বেআইনি ভাবে থাকা শাসকদলের কার্যালয় নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
উত্তরপাড়া শহর জুড়ে ‘বেআইনি’ গুমটির রমরমা নতুন নয়। অনেক সময়ই অভিযোগ উঠেছে, পুরসদস্যেরা এই সব দেখেও দেখেন না। বালিখাল লাগোয়া এলাকায় পূর্ত দফতরের জমিতে রীতিমতো শাটার দিয়ে পাকাপোক্ত দোকান করা হয়েছে। এমন নির্মাণের ফলে মানুষের যাতায়াতের যেমন সমস্যা হয়, তেমনই নিকাশি নালা পরিষ্কার করা যায় না। উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের পাঁচিল জুড়েও ‘বেআইনি’ গুমটি রয়েছে বলে অভিযোগ।
পুরপ্রধানের বক্তব্য, ‘‘কারও রুটিরুজিতে আঘাত করা আমাদের লক্ষ্য নয়। কিন্তু মানুষকে পথে তো হাঁটতে দিতে হবে! প্রচুর গুমটি দিনের পর দিন বন্ধ পড়ে। আবার একই পরিবারের তিন-চারটি গুমটি রয়েছে। গুমটি হাতবদলও হচ্ছে। আমরা মূলত বন্ধ গুমটিগুলিই সরানোর কাজ করেছি। পরবর্তী সময়েও এই কাজ শহর জুড়ে চলবে।’’
সিআইটিইউ নেতা শঙ্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিকল্প রুজির ব্যবস্থা না করে একতরফা ভাবে গুমটি ভাঙার আমরা বিরোধী। তবে, মানুষ যাতে ফুটপাত ব্যবহার করতে পারেন, সেটাও দেখতে হবে।’’ বিজেপি নেতা প্রণয় রায়ের বক্তব্য, ‘‘যাঁরা রাস্তায় বসে ব্যবসা করছেন, তাঁদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী নিজে এক মাস সময় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। তাঁর দলেরই পুরপ্রধান সেই নির্দেশ মানছেন না। এটা ঠিক নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy