Advertisement
E-Paper

রূপনারায়ণের নৌকাডুবিতে উদ্ধার আরও দুই নিখোঁজের দেহ

পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দু’কিলোমিটার দূরে, স্থানীয় বেরাল কালীতলায় নদীর চর থেকে ঋষভের দেহ উদ্ধার করে উদ্ধারকারী দল। প্রাথমিক ভাবে তার পোশাক দেখে পরিবারের লোক দেহ শনাক্ত করেছেন।

An image of rescue

নৌকাডুবির ঘটনার প্রায় তিন দিন পরে আরও দুই নিখোঁজদের দেহ উদ্ধার করা হল। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:৩১
Share
Save

চড়ুইভাতি থেকে ফেরার সময়ে রূপনারায়ণ নদে নৌকাডুবির ঘটনার প্রায় তিন দিন পরে উদ্ধার হল ঋষভ পাল (৬) ও অচ্যুত সাহার (৫৯) দেহ। গত বৃহস্পতিবার হাওড়ার বেলগাছিয়া এবং মানকুর এলাকার ১৮ জন বাকসির ত্রিবেণী পার্কে চড়ুইভাতি করতে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যার সময়ে তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন। তখনই নৌকা ডুবে যায়। এই ঘটনায় মাঝিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনায় পাঁচ জন নিখোঁজ হয়েছিলেন। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত তিন জনের দেহ উদ্ধার হল।

পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দু’কিলোমিটার দূরে, স্থানীয় বেরাল কালীতলায় নদীর চর থেকে ঋষভের দেহ উদ্ধার করে উদ্ধারকারী দল। প্রাথমিক ভাবে তার পোশাক দেখে পরিবারের লোক দেহ শনাক্ত করেছেন। ঋষভের বাড়ি কোনা হাই রোড সংলগ্ন বিবেকানন্দ পল্লিতে। সকালে তার দেহ উদ্ধারের পরেই ১০ কিলোমিটার দূরে, হুগলির খানাকুলের মাড়োখানা পানশিউলির কাছ থেকে উদ্ধার হয় অন্য দেহটি। অচ্যুত সাহার বাড়ি লিলুয়ার বেলগাছিয়া এলাকার লিচুবাগানে। দুর্ঘটনার পরের দিনই বেলগাছিয়ার আর এক বাসিন্দা সুনন্দা ঘোষের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁর স্বামী অমর ঘোষের সন্ধান মেলেনি। পাওয়া যায়নি মানকুরের বাসিন্দা, ১৭ বছরের কিশোর প্রীতম মান্নার খোঁজও। কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী-সহ সাতটি উদ্ধারকারী দল তল্লাশি চালাচ্ছে তাঁদের খোঁজে। হাওড়ার পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রশাসনও তল্লাশির কাজ করছে।

এ দিন দু’টি মৃতদেহ উদ্ধারের পরে উলুবেড়িয়ার শরৎচন্দ্র মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত হয়। এর পরে ঋষভের দেহ নিয়ে তার পরিবারের লোকজন বিবেকানন্দ পল্লির দিকে রওনা হয়ে যান। সাড়ে ৩টে নাগাদ হুগলি পুলিশের একটি পাইলট ভ্যানের পিছনে অ্যাম্বুল্যান্সে করে শিশুটির দেহ বাড়িতে আনা হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকার বাসিন্দারা এসে শিশুটির বাড়ির সামনে জড়ো হন। ঋষভের মা বর্ষা পাল-সহ আত্মীয়স্বজন ও এলাকার লোকজন কান্নায় ভেঙে পড়েন। ঘটনার পর থেকে তার বাবা বিশ্বজিৎ পাল অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। প্রতিবেশীরা জানান, শনিবার তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিকেলে ঋষভের দেহ চামরাইলের পোড়ার মাঠে সমাধিস্থ করা হয়।

অন্য দিকে, বিকেল পৌনে ৪টে নাগাদ বেলগাছিয়ার লিচুবাগানে এসে পৌঁছয় অচ্যুত সাহার মৃতদেহ। তার পরেই এলাকার মানুষ ভিড় জমান সেখানে। কিছু ক্ষণ স্থানীয় ক্লাবের সামনে দেহটি রাখা হয়। সেখানে ক্লাবের সদস্যরা মাল্যদান করেন। এর পরে দেহ সৎকারের জন্য শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Rupnarayan River dead bodies boat sink

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}