রেলের চাকায় লোহার শিকল। — নিজস্ব চিত্র।
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। তার আগে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে প্রশাসনের প্রস্তুতি। হাওড়া জেলায় সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ফেরি পরিষেবা। একই ছবি হুগলিতেও। সেখানে গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে চলছে প্রশাসনের কড়া নজরদারি। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের শালিমার রেল ইয়ার্ডে ট্রেনের চাকায় লোহার শিকলে তালা-চাবি মেরে রাখা হয়েছে।
রাজ্য পরিবহণ দফতরের নির্দেশে হাওড়া-কলকাতার মধ্যে ফেরি পরিষেবা বন্ধ রাখা হচ্ছে রবিবার এবং সোমবার। হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান বাপি মান্না জানিয়েছেন, এই দু’দিন নদীতে কোনও লঞ্চ চলবে না। লঞ্চগুলিকে আর্মেনিয়ান ঘাট এবং হাওড়া ঘাটে মোটা দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। রিমেলের প্রভাবে ঝড়ের গতি মাত্রা ছাড়ালে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন বেলাইন হতে পারে। ট্রেন গড়িয়ে গিয়ে অন্য ট্রেনে ধাক্কা মারতে পারে। তাই আগাম সতর্কতা হিসাবে দক্ষিণ পূর্ব রেলের শালিমার রেল ইয়ার্ডে ট্রেনের চাকায় বাধা হয়েছে লোহার শিকল। তা বন্ধ করে রাখা হয়েছে তালা দিয়ে। শালিমারের ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট পিনাকি মণ্ডল জানান, প্রবল হাওয়ার দাপটে ট্রেন গড়িয়ে গিয়ে শুধু বেলাইন হয়ে যাওয়া নয়, অন্য ট্রেনেও ধাক্কা মারতে পারে। ফলে দুর্ঘটনার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আগাম সর্তকতা হিসাবে রেলের ‘পায়ে বেড়ি’ পরানো হয়েছে।
একই ছবি হুগলিতেও। উত্তরপাড়া, কোন্নগরের ফেরিঘাটগুলিতে দেখা গেল, জেটির সঙ্গে ভেসেলগুলিকে চেন দিয়ে বেঁধে রাখা হচ্ছে। ফেরিঘাটের কর্মীরা জানাচ্ছেন, জোয়ারে গঙ্গার জল অনেকটা ফুলে উঠেছিল। সকাল থেকেই ঝোড়ো হাওয়া দিচ্ছে। রেমাল স্থলভূমিতে আছড়ে পড়বে রবিবার রাতে। সে সময় যাতে ভেসেল জলে ভেসে না যায় সেই কারণে চেন দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে জেটির সঙ্গে। কিন্তু বেশি ভেসেল বাঁধলে জেটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই বিকল্প জায়গায় ভেসেল বেঁধে রাখার বন্দোবস্ত করতে হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy