সাঁতরাগাছি সেতু। ফাইল চিত্র।
১৯ নভেম্বর থেকে সাঁতরাগাছি সেতুর জরুরি মেরামতি শুরু হলে ভারী গাড়ি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সব ধরনের যান চলাচল।
সেতুর এক্সপ্যানশন জয়েন্ট বদল ছাড়াও একাধিক জরুরি মেরামতি হবে। অনুমান, এই কাজে দেড় মাস লাগতে পারে। তাই কত তারিখ পর্যন্ত যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তা পরিবহণ দফতর এখনও নির্দেশিকায় জানায়নি।
সরকারি নির্দেশিকা মেনে পরিবর্তিত যাত্রাপথে পণ্যবাহী গাড়ি পাঠাতে যাতে সুবিধা হয়, তার জন্য গন্তব্য কাগজে লিখে চালককে উইন্ডস্ক্রিনে তা সেঁটে রাখতে বলেছেন পুলিশকর্তারা। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সব যাত্রিবাহী গাড়ি, বাস, অ্যাম্বুল্যান্স-সহ ছোট গাড়ি ভোর ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ওই সেতু ব্যবহার করবে। যাত্রিবাহী গাড়িগুলি দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোল প্লাজ়া থেকে হাংসাং ক্রসিং, ড্রেনেজ ক্যানাল রোড, শানপুর ক্রসিং, হাওড়া-আমতা রোড থেকে সলপ মোড় হয়ে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরতে পারবে। ওই রাস্তা দু’দিকেই ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে।
পাশাপাশি, খড়্গপুরমুখী যাত্রিবাহী গাড়ি, অ্যাম্বুল্যান্স-সহ জরুরি পরিষেবায় যুক্ত গাড়ি দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে হাওড়া-আন্দুল রোড, মৌড়িগ্রাম উড়ালপুল, আলমপুর হয়ে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে যেতে পারবে। ওই রাস্তাও রাত-দিন খোলা থাকবে।
অন্য দিকে, কলকাতা থেকে যাওয়া পণ্যবাহী গাড়ি দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে আলমপুর, আন্দুল রোড ধরে রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে যাতায়াত করতে পারবে। ওই একই সময়ে কলকাতার দিক থেকে পণ্যবাহী ভারী ট্রাক এবং অন্য যান টালা সেতু, নিবেদিতা সেতু, ডানকুনি হয়ে দু’নম্বর জাতীয় সড়কেও যেতে পারবে। খড়্গপুর থেকে কলকাতামুখী ভারী ট্রাক ধূলাগড়, আলমপুর, নিবড়া, সিসিআর ব্রিজ, নিবেদিতা সেতু হয়ে টালা সেতু দিয়ে রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে আসবে। ওই সময়ে দু’নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে আসা ভারী গাড়ি ডানকুনি থেকে নিবেদিতা সেতু হয়ে কলকাতায় আসবে। কলকাতা থেকে যে সব ভারী গাড়ি মৌরীগ্রাম সেতু ব্যবহার করবে, তাদের উচ্চতা সাড়ে চার মিটারের মধ্যে হতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy