শ্যামল পাত্রের বাড়ির সামনে পুলিশ মোতায়েন। — নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েতের সব আসন রয়েছে তৃণমূলেরই দখলে। অথচ, সেখানে বোর্ড গঠন ঘিরে উত্তেজনা রইল বৃহস্পতিবার দিনভর। আমতা-১ ব্লকের ভান্ডারগাছা পঞ্চায়েতের ঘটনা। বোর্ড গঠনে দলেরই গরহাজির ১০ সদস্যকে উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক নির্মল মাজির নেতৃত্বে পঞ্চায়েতে নিয়ে আসা হয়। পরে দলের মনোনীত প্রার্থীকেই করা হয় প্রধান-উপপ্রধান।
ভান্ডারগাছা পঞ্চায়েতে ১৬টি আসনের সব ক’টিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। প্রধান হয়েছেন নিপা বাসু, উপপ্রধান তমাল দোলুই। ওই এলাকায় বিধায়ক নির্মল মাজির সঙ্গে দ্বন্দ্ব রয়েছে ভান্ডারগাছা অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি শ্যামল পাত্রের। শ্যামলের অভিযোগ, দল প্রধান-উপপ্রধান নির্বাচনে বিধায়ককেই গুরুত্ব দিয়েছে। এক শ্যামল অনুগামীর কথায়, ‘‘আমরা ১০ জন এ দিন ভোটাভুটিতে থাকব না বলেই ঠিক করেছিলাম। ছিলাম শ্যামলবাবুর বাড়িতে। কিন্তু বিধায়ক পুলিশ পাঠিয়ে আমাদের পঞ্চায়েতে তুলে নিয়ে গেলেন।’’
বৃহস্পতিবার দুপুরে এলাকায় গিয়ে দেখা গেল শ্যামল পাত্রের বাড়ির কিছুটা দূরে পুলিশ ও র্যাফ মোতায়ন আছে। শ্যামল বলেন, ‘‘আমরা এই প্রধান ও উপপ্রধানকে মানি না। কাজেও সহযোগিতা করা হবে না।’’ এ বিষয়ে নির্মলের দাবি, ‘‘শ্যামল দলের মধ্যে বিভেদ তৈরি করছেন। ওই ১০ সদস্যকে নিয়ে তিনি কুমতলব করছিলেন। আমার অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করেছে। শ্যামলের এমন অসহযোগিতার কথা দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।’’ পুলিশের তরফে এ বিষয়ে কোনও বক্তব্য মেলেনি।
তৃণমূলের এমন প্রকাশ্যে গোষ্ঠীকোন্দলকে বিঁধতে ছাড়েনি বিজেপি। স্থানীয় বিজেপি নেত্রী মামনি মালিক বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীদের মনোনয়ন করতে দেয়নি তৃণমূল। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের পরেও পদ নিয়ে এমন আকচাআকচি খুবই নিন্দার। আগামী বছর কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে লোকসভা নির্বাচন হবে। মানুষ তখন এর জবাব দেবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy