প্রতীকী ছবি।
পঞ্চায়েত ভোট আসছে। প্রস্তুতি শুরু করেছে সব রাজনৈতিক দল। দলীয় প্রার্থী নির্বাচনে এ বার শুধু স্বচ্ছ ভাবমূর্তিই নয়, তিনি কতটা কাজের মানুষ সেটাও দেখে নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিচ্ছেন হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূল নেতারা।
তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, ওই দুই শর্ত সেই সব প্রার্থীর ক্ষেত্রেই বেশি প্রযোজ্য, যাঁরা গত পাঁচ বছর ধরে পঞ্চায়েতের সদস্য, প্রধান বা উপপ্রধান হিসেবে কাজ করছেন। তাঁদের ফের মনোনয়ন দেওয়া হবে কি না, সেটা বিবেচনা করা হবে তাঁদের ভাবমূর্তি এবং তাঁরা কেমন কাজ করেছেন, তার উপরে।
গ্রামীণ জেলা তৃণমূলের এক নেতা জানান, হয়তো দেখা গেল কারও ভাবমূর্তি বেশ স্বচ্ছ, কিন্তু তিনি কাজের কাজ কিছুই করেননি। সরকারের প্রকল্পগুলি রূপায়ণে তেমন ভাবে কাজ করেননি। তাঁকে ফের প্রার্থীকরা হবে কি না, তা নিয়ে দল ভাবনাচিন্তা করবে।
গ্রামীণ জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বাগনানের বিধায়ক অরুণাভ সেন অবশ্য দলের অভ্যন্তরীণ নীতি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি শুধু বলেন, ‘‘প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে দলের রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশমতোই কাজ হচ্ছে।’’
তৃণমূলের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েতের দলীয় প্রতিনিধিরা কেমন কাজ করেছেন, গত এক বছর ধরেই সে ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া চলছে। শুধু দলগত ভাবেই নয়, আইপ্যাক এবং তাদের সহযোগী হিসেবে একাধিক সংস্থাকে এই প্রক্রিয়ায় বহাল করা হয়েছে। সকলের কাছ থেকে পাওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতেই প্রার্থী ঠিক করা হবে। যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে এবং বিভিন্ন সমীক্ষায় তা প্রাথমিক ভাবে প্রমাণিত হয়েছে, তাঁদের কোনও ভাবেই প্রার্থী করা হবে বলে দলীয় নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছেন। সরাসরি রাজনীতি না করলেও সমাজে বেশ প্রভাব আছে, এমন স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানুষজনকেও প্রার্থী করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে বলে দলীয় সূত্রের খবর।
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বহু জায়গায় ভোট লুটের অভিযোগ উঠেছিল শাসকদলের বিরুদ্ধে। দলের এক নেতা জানান, সেই অভিযোগ সার্বিক না হলেও অনেকটাই সঠিক ছিল। তিনি বলেন, ‘‘সেই সময় কিছু স্থানীয় নেতা দলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের কাছে নিজেদের কৃতিত্ব দেখানোর জন্য এইসব অপকর্ম করেছিলেন। তাঁদের জুলুমবাজির জন্য তৃণমূলের অনেক ভোটারও নিজেদের ভোট নিজেরা দিতে পারেননি। এর প্রভাব পড়েছিল লোকসভা ভোটে। যে সব বুথে জুলুমবাজি করা হয়েছিল, সেইসব বুথের অনেকগুলিতেই লোকসভা ভোটে দল পিছিয়ে পড়ে। পরে সেই ক্ষত অনেকটাই মেরামত করা হয়। যাঁরা অপকর্ম করেছিলেন, তাঁদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বা সতর্ক করা হয়।’’
এ বারে আর জোর করে ভোট নেওয়া কোনও মতেই বরদাস্ত করা হবে না বলেও জানিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। বিধায়ক অরুণাভ সেনের দাবি, ‘‘গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রিগিংয়ের যে অভিযোগ উঠেছিল, তার বেশিরভাগই বিরোধীদের পরিকল্পিত অপপ্রচার। উন্নয়নের নিরিখেই দল বার বার জিতছে। এ বারেও জিতবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy