দলীয় কর্মীর বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কালীতলায় বিধায়ক অসিত মজুমদার। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
বিরোধীদের ভোট দিয়েছেন, এই সন্দেহে চুঁচুড়া-মগরা ব্লকের কোদালিয়া-২ পঞ্চায়েতের কালীতলা এলাকার কিছু ভোটারকে এক তৃণমূল কর্মী টানা হুমকি দিয়ে আসছিলেন বলে অভিযোগ। তা জানতে পেরে রবিবার ওই এলাকায় গিয়ে অভিযুক্ত দলীয় কর্মী সুকুমার মণ্ডলকে প্রকাশ্যে ভর্ৎসনা করলেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার।
সুকুমারকে বিধায়ক বলেন, ‘‘এখানকার মানুষ যে দলেরই সমর্থক হোন না কেন, তুই কারও ঠিকা নিসনি। যে যাঁকে ইচ্ছা ভোট দেবেন। দল তোমার দাদাগিরি সমর্থন করে না। বেশি কথা বললে ভিতরে (জেলে) ঢুকিয়ে দেব।’’ পরে বিধায়ক বলেন, ‘‘কোনও দলই মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। সুকুমার চরম ভুল করেছে। ওকে বলেছি, এই ভুল দ্বিতীয় বার যেন না হয়।’’ সকলের সামনেই ভুল স্বীকার করে শেষমেশ বিধায়কের ভর্ৎসনা থেকে মুক্তি মেলে সুকুমারের। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনও মন্তব্য করতে তিনি অস্বীকার করেন।
কালীতলা এলাকাটি পঞ্চায়েতের ১২৭ নম্বর বুথের অন্তর্গত। ভোটার সংখ্যা ১১০০-র বেশি। তৃণমূল, সিপিএম ও বিজেপি পেয়েছে যথাক্রমে ৪২৪, ২৪৪ এবং ৮৯টি ভোট। ১৮০ ভোটে দ্বিতীয় বারের জন্য অবশ্য ওই বুথে জয়ী হয়েছেন সুকুমারের স্ত্রী, তৃণমূলের কৃষ্ণা মণ্ডল। এলাকাবাসীর দাবি, স্ত্রীর জয়ের ব্যবধান আরও
বেশি আশা করেছিলেন সুকুমার। কিন্তু তা হয়নি।
গণনার পর থেকেই সুকুমার বেছে বেছে কিছু পরিবারকে হুমকি দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। তাঁর সন্দেহ, ওই সব পরিবারের লোকেরা তাঁর স্ত্রীকে ভোট দেননি। তেমনই একটি পরিবারের এক মহিলা বলেন, ‘‘সুকুমার বাড়িতে এসে মারধরের হুমকি দিয়ে গিয়েছে। রাস্তাঘাটে বেরোলেই গালিগালাজ করছিল।" আর এক মহিলার অভিযোগ, "আমরা নাকি সিপিএমকে ভোট দিয়েছি! তাই আগামী পাঁচ বছর সরকারি সুযোগ-সুবিধা মিলবে না বলে সুকুমার শাসিয়ে গিয়েছিলেন।’’
আতঙ্কিত ওই পরিবারগুলি শনিবার বিধায়কের বাড়িতে গিয়ে নালিশ জানান। এরপর রবিবার সকালেই সেখানে উপস্থিত হন বিধায়ক। সুকুমারের প্রতি তাঁর ভর্ৎসনা শুনে বুকে বল পেয়েছেন স্থানীয়েরা। তবে, সিপিএম এখনই বিধায়কের গুণগান গাইতে নারাজ। দলের ব্যান্ডেল-কোদালিয়া এরিয়া কমিটির সম্পাদক মধুসূদন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘স্বাভাবিক ভাবে বিধায়ককে স্যালুট জানানোর মতো ব্যাপার। কিন্তু দলটা তৃণমূল! তাই এ দিনের কর্মকাণ্ডে বিধায়কের অন্য কোনও অভিসন্ধি আছে কি না, সে দিকেও নজর রাখতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy