E-Paper

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেও প্রচারে তৃণমূল প্রার্থীরা

আমতা ১ ব্লকের চন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের ১৫টি আসনের সব ক’টিতেই জিতেছে তৃণমূল। এ ছাড়াও, জেলার আরও বহু পঞ্চায়েতেও একই ফল হয়েছে।

উদয়নারায়ণপুরে তৃণমূলের বাড়ি বাড়ি প্রচার।

উদয়নারায়ণপুরে তৃণমূলের বাড়ি বাড়ি প্রচার। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২৩ ০৬:২৪
Share
Save

ওঁরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছেন। কিন্তু রেহাই নেই। ভোটের প্রচারে নামতে হচ্ছে সকাল-সন্ধে।

আমতা ১ ব্লকের চন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের ১৫টি আসনের সব ক’টিতেই জিতেছে তৃণমূল। এ ছাড়াও, জেলার আরও বহু পঞ্চায়েতেও একই ফল হয়েছে। জয়ী তৃণমূল প্রার্থীরা প্রচার তো করছেনই, তার ছবি দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছেও নিয়মিত পাঠাতে হচ্ছে।

কেন এই ব্যবস্থা?

গ্রামীণ জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বাগনানের বিধায়ক অরুণাভ সেন বলেন, ‘‘রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ, তিনটি স্তরের প্রার্থীদেরই দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে অন্তত তিনবার করে বাড়ি বাড়ি প্রচার করতে হবে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ীদেরও ছাড় নেই। প্রচারে একটুও ঢিলেমি গ্রাহ্য করা হবে না। মানুষজনের সঙ্গে পরিচয় করতে হবে। আত্মসন্তুষ্টিতে ভোগা চলবে না।’’

গ্রামীণ জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ এই নির্দেশের পিছনে আরও একটি কারণকেও চিহ্নিত করেছেন। তাঁরা জানান, বহু গ্রাম পঞ্চায়েত আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল জিতলেও জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতির আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। বিশেষ করে জেলা পরিষদের ৪২টি আসনের মধ্যে সব ক’টিতেই বিজেপি এবং বামেরা প্রাথী দিয়েছে। ৪৭০টি পঞ্চায়েত সমিতির বেশিরভাগ আসনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। প্রচারে ঢিলে দিলে ওই দুই স্তরের যে সব আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে,সেখানে দল পিছিয়ে পড়তে পারে। বিরোধীরা সুযোগ নিতে পারে। চন্দ্রপুরেও তাই শুধুমাত্র জেলা পরিষদ আসনে ভোটের জন্যেও প্রচারে নেমেছেন পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী প্রার্থীরা।

উদয়নারায়ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ১৬টির মধ্যে ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েত চলে এসেছে শাসক দলের হাতে। পঞ্চায়েত সমিতিও তাদের দখলে চলে এসেছে। কিন্তু জেলা পরিষদের চারটি আসনের সব ক’টিতেই ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। এখানেও জয়ী প্রার্থীরা প্রচার চালাচ্ছেন। বিধায়ক তথা গ্রামীণ জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান সমীর পাঁজা বলেন, ‘‘আমরা তিনটি স্তরেই আমাদের দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার করছি।’’

বাগনান বিধানসভা এলাকা থেকে জেলা পরিষদ প্রাথী হয়েছেন মানস বসু। তিনি বলেন, "আমার এলাকায় কয়েকটি বুথে গ্রাম পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আমাদের প্রার্থী জিতেছেন। তাঁদের সঙ্গে নিয়েই আমি বাড়ি বাড়ি প্রচার করছি।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

West Bengal Panchayat Election 2023 WB Panchayat Election 2023 udaynarayanpur TMC

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।