ফাইল চিত্র।
ডেঙ্গির মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের ‘পালস মোড ক্লিনিং’ প্রকল্প মডেল হিসাবে রাজ্যের মধ্যে প্রথম চালু হচ্ছে হাওড়া পুরসভা এলাকায়। পুরসভা সূত্রের খবর, এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য, বহু দিন ধরে জমে থাকা জঞ্জাল পরিষ্কার করা। জুলাই মাস জুড়ে এই সাফাই অভিযান চলবে। এই কাজে প্রায় ৩৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য। বুধবার হাওড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এই প্রকল্প রূপায়িত করতে জঞ্জাল অপসারণ দফতরে অতিরিক্ত ৬০০ জন কর্মী নিয়োগ করা হবে। তাঁরা প্রতিটি ওয়ার্ড ঘুরে সাফাইয়ের কাজ করবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে রাজ্য সরকারের ‘পালস মোড ক্লিনিং’ প্রকল্প হাওড়ায় প্রথম শুরু হচ্ছে।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, বর্ষার পরে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ে হাওড়ায়। এ বছর তেমন পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে আগেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে পুর প্রশাসন। জানা গিয়েছে, শহরের ৫০টি ওয়ার্ডে যেখানে বহু দিন ধরে আবর্জনা জমে রয়েছে, সেখানে যাতে ডেঙ্গির মশার লার্ভা জন্মাতে না পারে, তার জন্য সাফাই অভিযান চলবে। পুরসভার সংযুক্ত এলাকার পাঁচটি ওয়ার্ড, ৪৬-৫০ নম্বরের প্রতিটিতে ২৫ জন করে সাফাইকর্মী এবং বাকি ওয়ার্ডগুলিতে ১০ জন করে সাফাইকর্মী রোজ এই কাজ করবেন। রাস্তার আশপাশে ছাড়াও কোনও পরিত্যক্ত বাড়িতে আবর্জনা জমে থাকতে দেখলে তাঁরা সেগুলি পরিষ্কার করবেন। হাওড়া পুরসভার সঙ্গে চুক্তি করে একটি সংস্থা ওই সাফাইকর্মীদের নিয়োগ করবে। পাশাপাশি, পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ দফতর থেকেও কর্মী নেওয়া হতে পারে।
সুজয়বাবু বলেন, ‘‘গত ছ’মাসে হাওড়া পুর এলাকায় ৪০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। ঠিক হয়েছে, অগস্ট মাস থেকে ১১টি ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জঞ্জাল সংগ্রহ করবেন সাফাইকর্মীরা। পরে ৫০টি ওয়ার্ডেই এই ব্যবস্থা চালু হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy