Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
Lok Sabha Election 2024

আচরণবিধি ভঙ্গ রোধে হাওড়ায় দল, পোর্টালের মাধ্যমে চলছে নজরদারি

নির্বাচন কমিশনের পোর্টাল সি ভিজিলে জমা পড়া সেই অভিযোগগুলি পেয়ে জেলা নির্বাচন কমিশন এমসিসি দলকে ১০০ মিনিটের মধ্যে সেগুলির নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিচ্ছে।

CRPF

হাওড়ার দাসনগর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।

দেবাশিস দাশ
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৪ ০৭:৪৭
Share: Save:

কোনও রাজনৈতিক দল নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি (মডেল কোড অব কন্ডাক্ট অথবা এমসিসি) লঙ্ঘন করছে কি না, তা নজরে রাখতে হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রে ১৫টি দল তৈরি করেছে জেলা প্রশাসন। সেই দলের কর্মীরা সময়ের মধ্যে ঠিক মতো কাজ করছেন কি না, তা দফতরে বসেই সি ভিজিল পোর্টালের মাধ্যমে নজরে রাখছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। এর জন্য একটি বিশেষ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বসে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীরা টিভির মাধ্যমে সরাসরি নজর রাখছেন এমসিসি-কর্মীদের কার্যকলাপে, যাঁরা কোথাও এমসিসি ভঙ্গ হলে সেখানে পৌঁছে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছেন। জেলা প্রশাসনের মতে, পোর্টালকে কাজে লাগিয়ে কর্মীদের কাজকর্মে নজরদারি এই প্রথম।

হাওড়া সদর লোকসভা কেন্দ্রে ইতিপূর্বে রোজই ২৫-৩০টি করে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। নির্বাচন কমিশনের পোর্টাল সি ভিজিলে জমা পড়া সেই অভিযোগগুলি পেয়ে জেলা নির্বাচন কমিশন এমসিসি দলকে ১০০ মিনিটের মধ্যে সেগুলির নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিচ্ছে। হাওড়া জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো ১০০ মিনিটের মধ্যে অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে হবে বলে জানিয়ে আমরা এমসিসি দলের উপরে সরাসরি নজরদারি চালাচ্ছি। তাদের গতিবিধির উপরেও ২৪ ঘণ্টা নজর রাখা হচ্ছে। কারণ, অতীতে দেখা গিয়েছে যে অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে এমসিসি দল অনেক ক্ষেত্রে গড়িমসি করেছে। তাই এ বার এই অনলাইন ব্যবস্থা।’’

হাওড়া জেলা নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, হাওড়া সদরের অনেক এলাকাতেই নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যানার, হোর্ডিং বা পোস্টার লাগানো হচ্ছে। সি ভিজিল পোর্টালে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের সেই অভিযোগগুলির ছবি বা ভিডিয়ো আপলোড হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাচ্ছেন নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক এবং কর্মীরা। সরকারি সম্পত্তি থেকে সেই সব ব্যানার, হোর্ডিং বা পোস্টার খুলে ফেলছেন তাঁরা। পুরো কাজটাই করা হচ্ছে অভিযোগ জানানোর পরে ১০০ মিনিটের মধ্যেই।

এই অভিযোগগুলি কখনও সাধারণ মানুষ বা কখনও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে কমিশনের কাছে জমা পড়ছে। নির্বাচন কমিশনের তরফে তৈরি করা কন্ট্রোল রুমে বসেই আধিকারিকেরা নজর রাখছেন, সি ভিজিল পোর্টালে কোনও অভিযোগ জমা পড়ছে কি না। আর সেখানে কোনও অভিযোগ জমা পড়লেই তা কোন এলাকার, সেটা জেনে নিয়ে ডেকে পাঠানো হচ্ছে একটি দলকে। যারা সেখানে গিয়ে নির্বাচন বিধিভঙ্গ করছে এমন ধরনের ব্যানার, হোর্ডিং বা পোস্টার খুলে ফেলবে। হাওড়া সদরে এ ধরনের মোট ১৫টি দল ঘুরছে। নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করছে এই জাতীয় ব্যানার, পোস্টার, হোর্ডিং লাগানোর ছবি বা ভিডিয়ো যেমন সি ভিজিল পোর্টালে দেওয়া হচ্ছে, তেমনই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সে সব খুলে ফেলার ভিডিয়ো বা ছবিও সেখানে আপলোড করা হচ্ছে। ফলে সহজেই বোঝা যাচ্ছে যে, অভিযোগের দ্রুত নিষ্পত্তি হচ্ছে কি না।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy