Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Chandannagar Police Commissionerate

স্কুলের সামনে দুর্ঘটনায় অকেজো শিক্ষিকার পা, ৬ বছর পর বেহালার ঘটনায় হুঁশ ফিরল চন্দননগরে

কোন্নগরের হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ের পঞ্চম থেকে দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য দু’টি ভবন জিটি রোডের দুই প্রান্তে। ২০১৭ সালে একটি গাড়ির ধাক্কায় জখম হন পাপিয়া নন্দী নামে এক শিক্ষিকা।

Teacher who injured in a road accident some 6 year ago now pleased to see the safety measure taken by the chandannagar police after Behala school boy died

কোন্নগর হিন্দু বালিকা বিদ্যালয় (বাঁ দিকে)। দুর্ঘটনায় জখম হওয়া শিক্ষিকা পাপিয়া নন্দী (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কোন্নগর শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৩ ১৬:৫১
Share: Save:

স্কুলের একটি ভবন থেকে অন্য ভবনে যেতে গিয়ে পথ দুর্ঘটনায় মারাত্মক ভাবে জখম হয়েছিলেন হুগলির কোন্নগর হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা পাপিয়া নন্দী। এখন চলাফেরার সঙ্গী হয়েছে ক্র্যাচ। ওই ঘটনার ৬ বছর পর পুলিশি নিরাপত্তা বেড়েছে স্কুলের সামনে। বেহালার স্কুলছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় টনক নড়েছে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের। যা দেখেশুনে ওই শিক্ষিকা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন। গত ৬ বছরে বার বার আবেদন করেও যে ব্যবস্থাকে দীর্ঘমেয়াদি করা যায়নি, তা মিলল অন্য জেলার একটি খুদের জীবনহানির ঘটনায়। শনিবার চন্দননগর কমিশনারেটের তরফে ওই স্কুলের সামনে গার্ডরেল এবং ট্র্যাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

কোন্নগরের হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ের পঞ্চম থেকে দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের পড়ানোর জন্য দু’টি আলাদা ভবন রয়েছে। দু’টি ভবন জিটি রোডের দুই প্রান্তে। তাই ক্লাস থেকে স্কুলের বিবিধ কাজকর্মের জন্য পড়ুয়া এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা— সবাইকে বারবার রাস্তা পেরোতে হয়। জিটি রোডের মতো এমন ব্যস্ত রাস্তায় এই পারাপারে ঝুঁকি থাকেই। তবে শুক্রবার ঘটনায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেহালার বড়িশা হাই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া সৌরনীল সরকারের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর বিভিন্ন স্কুলের সামনের রাস্তাতে নিরাপত্তা বেড়েছে। শনিবার একই ছবি দেখা গেল হুগলির ওই স্কুলের সামনেও।

২০১৭ সালে ক্লাস নিতে যাওয়ার সময় রাস্তা পারাপার করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন কোন্নগরের হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ের পাপিয়া। এখনও তিনি পুরোপুরি সুস্থ নন। হাতে ক্র্যাচ নিয়ে হাঁটতে হয়। স্কুলের সামনে নিরাপত্তা দেখে ওই শিক্ষিকা বলেন, ‘‘আমি ১৯৯০ সাল থেকে এই স্কুলে শিক্ষকতা করছি। আমাদের স্কুলের এইচএস বিল্ডিংটা জিটি রোডের ওপারে। গঙ্গার পাশে। তাই একাদশ-দ্বাদশের ক্লাস করতে গেলে রাস্তা পেরিয়ে যেতে হয়। প্রচুর যানবাহন চলে রাস্তায়। পড়ুয়া এবং শিক্ষিক-শিক্ষিকারা তার মধ্যেই যাতায়াত করে। তাই নিরাপত্তার দরকার ছিল।’’ নিজের দুর্ঘটনা নিয়ে ওই শিক্ষিকা বলেন, ‘‘২০১৭ সালে জিটি রোড পার করতে গিয়ে বিরাট দুর্ঘটনা হয় আমার। সে দিন এইচএস বিল্ডিংয়ে যাচ্ছিলাম। একটা গাড়ি এসে ধাক্কা মারে। এখনও আমার পা পুরোপুরি সারেনি।’’ বলেই হাতে থাকা ক্র্যাচ দেখালেন। পাপিয়া জানান, ওই ঘটনার পর থেকে মাঝে মধ্যে এক জন করে পুলিশকর্মী টহল দিতেন স্কুলের সামনে। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ আরও নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। এবং শেষ পর্যন্ত তা পাওয়া গেল।

পাপিয়ার মতো অন্য শিক্ষক-শিক্ষিকারাও জানিয়েছেন, মাঝে মধ্যে এক জন মহিলাপুলিশ কর্মী থাকতেন। কিন্তু তাঁদের আবেদন ছিল স্থায়ী ব্যবস্থা নিক প্রশাসন। কারণ, প্রতিদিন ক্লাস করার জন্য জিটি রোডের এপার-ওপার করতে হয় স্কুলের সবাইকে।

অন্য বিষয়গুলি:

Chandannagar Police Commissionerate school Hooghly
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy