দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন শুভেন্দু। নিজস্ব চিত্র।
এ বারও আরামবাগ লোকসভা আসনে সামান্য ব্যবধানে পরাজয় হয়েছে বিজেপির। এই কেন্দ্রের খানাকুল বিধানসভায় তারা বেশি শক্তিশালী। তবে, তৃণমূলের দাবি, বিজেপির বহু নেতা-কর্মী দল ছাড়তে চান। বিজেপি এ কথা না মানলেও ভোট পরবর্তী হিংসায় খানাকুলে ‘আক্রান্ত’ দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে এসে তাঁদের ঐক্যবদ্ধ থাকার পরামর্শ দিয়ে গেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শনিবার শুভেন্দু খানাকুল বিধানসভা এলাকার চব্বিশপুর, বলপাই, খুনিয়াচক, হরিশচক বড়পাড়া, মাড়োখানা ও রামচন্দ্রপুর এলাকায় ঘোরেন। চব্বিশপুরে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ভিড় থেকে দুই মহিলা তৃণমূলের লোকজনকে পাল্টা মারের তত্ত্ব আওড়াতেই তাঁদের নিবৃত্ত করেন শুভেন্দু। বলেন, ‘‘একদম না। আমি কাউকে উস্কানি দিতে আসিনি।” কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “তবে আত্মরক্ষা এবং প্রতিরোধের অধিকার প্রত্যেকের আছে। আমাদের লড়াই শেষ হয়ে যায়নি। বর্ষার পর রাজনৈতিক কর্মসূচিও হবে।” হুমকি-সন্ত্রাসের অভিযোগ জানাতে সবাইকে একটি ‘মেল আইডি’ দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
বিজেপি পরিচালিত খানাকুলের ১১টি পঞ্চায়েত তৃণমূল দখলের চেষ্টা করছে বলে দাবি বিরোধী দলনেতার। তিনি বলেন, “তৃণমূলের হুমকির পাশাপাশি পুলিশ দিয়ে সদস্যদের ফোন করানো হচ্ছে, পঞ্চায়েত যাবে না। মিথ্যা জামিনঅযোগ্য ধারায় মামলাও করা হচ্ছে।” আগামী ১০ জুলাই খানাকুল থানা ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। পুলিশ অভিযোগ মানেনি। আরামবাগ লোকসভায় দলের হারের জন্য নির্দল প্রার্থী হিসেবে রঘু মল্লিককে (১৬ হাজারের বেশি ভোট পান) দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত ভুল ছিল বলে মেনে নেন শুভেন্দু।
তৃণমূলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি পলাশ রায় বলেন, “খানাকুলে বিজেপির সন্ত্রাস ছাড়া আমাদের সাংগঠনিক জেলার কোথাও সন্ত্রাস নেই। আর বিজেপির পঞ্চায়েতগুলির বড় সংখ্যক জনপ্রতিনিধি নিজেদের অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও দুর্নীতির প্রতিবাদে ওই দলে থাকতে চাইছেন না। তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।” বিজেপি এ কথা মানেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy