বলাগড়ের গুপ্তিপাড়া ফেরিঘাট এলাকা পরিদর্শনে হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন। নিজস্ব চিত্র।
রাতের অন্ধকারে বলাগড়ের সোমরা ২ পঞ্চায়েত এলাকায় সবুজদ্বীপের পাশে গঙ্গার একটি চর থেকে মাটি কাটা এবং বালি তোলা চলছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। বুধবার এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে নজরদারি আরও বাড়ানোর আশ্বাস দিলেন হুগলির (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন।
ওই পুলিশকর্তা জানান, সোমরায় অনেকের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে মাটি-বালি কাটা হচ্ছে না। তবে, কোনও কোনও সময় রাতে এই কাজ হয়। কিন্তু গুপ্তিপাড়ায় হয় না। অবৈধ কাজ চললে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘জেলাশাসককে যুগ্ম পরিদর্শনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
টহলদারি তো চলছেই। নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।’’
গ্রামবাসীদের দাবি, ভোরের আলো ফোটার আগেই ‘অপারেশন’ শেষ হয়ে যায়। প্রায় ২০০ বিঘা আয়তনের ওই চরে অনেকে চাষবাস করেন। তাঁদের আশঙ্কা, যে ভাবে ভুটভুটি এনে অবাধে মাটি-বালি তোলা হচ্ছে, তাতে চাষের জমি গঙ্গায় চলে যাবে। ক্রমে চরটিই অস্বিত্ব হারাবে। স্থানীয় পঞ্চায়েতে এ ব্যাপারে অভিযোগও জমা পড়ে। ওই অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার পঞ্চায়েত প্রধান ময়না মুর্মু ওই চর পরিদর্শন করেন।
বুধবার দুপুরে এসপি ওই চর ছাড়াও গুপ্তিপাড়া ফেরিঘাট এলাকায় যান। সঙ্গে ছিলেন ডিএসপি (ক্রাইম) দেবীদয়াল কুন্ডু, স্থানীয় সার্কেল ইনস্পেক্টর শ্যামল চক্রবর্তী এবং বলাগড় থানার ওসি রাজকিরণ মুখোপাধ্যায়।
বলাগড়ে গঙ্গার চর থেকে অবৈধ ভাবে মাটি কাটা এবং বালি তোলার অভিযোগ নতুন নয়। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে শাসকদলের স্থানীয় বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর পোস্ট ঘিরে চর্চার জেরে বিষয়টি অন্য মাত্রা পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জেলা পুলিশ যে বিষয়টি হালকা ভাবে
নিচ্ছে না, বোঝা গেল বুধবার পুলিশ সুপারের পরিদর্শনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy