পুরশুড়ায় পদযাত্রা বিজেপির। —নিজস্ব চিত্র।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে লোকসভা ভোট হলেও তা কতটা অবাধ ও শান্তিপূর্ণ থাকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।
শনিবার পুরশুড়ার মসিনান মাঠে আয়োজিত দলীয় সভায় অবাধ ভোট নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। একই সভায় অবশ্য তার নিদানও দিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি সুকান্তের পরামর্শ, “গণনাকেন্দ্রের সামনে ঝান্ডার সঙ্গে ডান্ডা নিয়ে থাকবেন। তৃণমূলের কোনও নেতা, মন্ত্রী যদি কারচুপি করতে আসেন, পিটিয়ে লাট করে দেবেন। আমরা দলীয় ভাবে দেখে নেব।”
তৃণমূলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি রামেন্দু সিংহরায় পাল্টা বলেন, “ওদের কত ডান্ডা আছে, নিয়ে আসুক। আমরা এমন ঠান্ডা করে দেব যে এক পা নড়তে পারবে না।’’
বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে তৃণমূলের ‘দুর্নীতি’ ও ‘স্বজনপোষণের’ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ডাক দিয়ে ওই সভা হয়। পুরশুড়া ব্লক অফিস সংলগ্ন এলাকা থেকে মসিনান পর্যন্ত প্রথমে পদযাত্রা হয়। এ বার আরামবাগ লোকসভা আসন জেতার জন্য সভায় সওয়াল করেন দিলীপ। তিনি বলেন, ‘‘গতবার একটুর জন্য আরামবাগ আসনটা জিততে পারিনি। এ বার আরামবাগ নিয়ে ৩৬টি আসন আমাদের দিতে হবে। ১ লক্ষের বেশি ভোটে জিতিয়ে এলাকার সেতু-রাস্তার দাবি সংসদে তুলতে হবে।” আগামী ২২ জানুয়ারি তৃণমূলের সম্প্রীতি মিছিল বয়কটেরও ডাক দেন তিনি।
পরে সুকান্ত বলেন, “রণে বনে জলে জঙ্গলে— এমন কোনও জায়গা পাবেন না, যেখানে তৃণমূল দুর্নীতি করেনি। লোকের বৌ চুরির পর্যন্ত নজির সামনে এসেছে। এই চোরদের আর রাখা যাবে না।”
ওই সভায় এ দিন আরামবাগের বিভিন্ন জায়গা থেকে সিপিএমের জনা ৪০ কর্মী-সমর্থক যোগ দেন বলে বিজেপির দাবি। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ভাস্কর রায় বলেন, “আমাদের দলীয় কর্মীরা কেউ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কি না জানা নেই। যদি জানা যায়, দলের গঠনতন্ত্র অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy