এখনও টাঙানো রয়েছে মেলার ফ্লে্ক্স। নিজস্ব চিত্র ।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য এ বারে ত্রিবেণীর কুম্ভমেলা আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন ও বাঁশবেড়িয়া পুরসভা। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে মেলা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত শনিবার মহকুমাশাসক (সদর) স্মিতা শুক্লের দফতরে আয়োজিত সমন্বয় বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত হওয়ার পরেই এ নিয়ে তরজা শুরু হয়েছে বিজেপি ও তৃণমূলে।
হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, "অযোধ্যায় রামমন্দির হচ্ছে। সেখানে কুম্ভমেলাও হচ্ছে। অথচ, এ রাজ্যে সমস্যা। ত্রিবেণীর কুম্ভের ইতিহাস ৭০০ বছরের পুরনো। পরীক্ষার ছুতোয় সেই মেলা বন্ধ করে দিচ্ছে তৃণমূল সরকার! অথচ, পরীক্ষার সময় তৃণমূলের অনুষ্ঠানে মাইক বাজে।’’ তৃণমূলের হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইন পাল্টা বলেন, ‘‘স্থগিতাদেশের পিছনে রাজনীতি নেই। আদালতের রায়কে মান্যতা দিয়েই প্রশাসন সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিজেপি আসলে আইন-কানুনের ধার ধারে না।’’ পরীক্ষার সময় তৃণমূলের মাইক বাজানোর অভিযোগও মানেননি অরিন্দম।
কথিত আছে, সাত শতক আগে ত্রিবেণীতে কুম্ভমেলা হত। পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০২২ সাল থেকে মাঘ সংক্রান্তি উপলক্ষে ফের এই মেলা শুরু হয়। প্রথম বছরেই গড়ে তোলা হয় 'ত্রিবেণী কুম্ভমেলা পরিচালনা সমিতি'। ওই মেলায় মানুষের বিপুল সাড়া মেলায় গত বছর থেকে ও পারে, নদিয়ার কল্যাণী ঘাটেও মেলা বসছে। তবে, নাগা সন্ন্যাসীদের কুম্ভস্নান ত্রিবেণী ঘাটেই হচ্ছিল।
বাঁশবেড়িয়ার উপ-পুরপ্রধান শিল্পী চট্টোপাধ্যায় জানান, মেলাস্থলের গায়েই একটি পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। আশপাশে রয়েছে আরও কয়েকটি। মেলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে মাইক বাজাতে হবে। ভিড় সামলাতে রাস্তায় যান চলাচল রুখতে হবে। এমতাবস্থায় পরীক্ষার্থীদের সমস্যা হলে আদালতের রায়কেই লঙ্ঘন করা হবে। তাই সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মেলা পরিচালন সমিতির পক্ষ থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানানোর কথা থাকলেও এ দিন তা জানানো হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy