E-Paper

সাঁতরাগাছি ঝিল লাগোয়া রেলের জমি থেকে উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে চাপান-উতোর

হাওড়া পুলিশের দাবি, গণেশ চতুর্থী ও বিশ্বকর্মা পুজোর সময়ে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর জন্য আবেদন করেছিল রেল। তখন পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী দেওয়া সম্ভব ছিল না।

An image of National Green Tribunal

জাতীয় পরিবেশ আদালত। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৬:৫১
Share
Save

সাঁতরাগাছি ঝিল সংলগ্ন রেলের জমি থেকে উচ্ছেদ অভিযানে হাওড়া পুলিশ-প্রশাসনের সাহায্য চেয়েছিলেন রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, হাওড়া প্রশাসন সাহায্য করেনি। ঝিলের জলে তরল বর্জ্য মেশা ঠেকাতে নিকাশি পরিশোধন প্লান্ট তৈরির জন্যও হাওড়া পুরসভার তরফে সক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে না। সাঁতরাগাছি ঝিল সংক্রান্ত মামলায় জাতীয় পরিবেশ আদালতে এমনটাই জানাল দক্ষিণ-পূর্ব রেল।

যদিও হাওড়া পুলিশের দাবি, গণেশ চতুর্থী ও বিশ্বকর্মা পুজোর সময়ে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর জন্য আবেদন করেছিল রেল। তখন পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী দেওয়া সম্ভব ছিল না। ফলে, রাজ্যের অন্যত্র উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের যেমন দ্বন্দ্ব চলে, সাঁতরাগাছি ঝি‌লও তার ব্যতিক্রম হল না বলে মনে করছেন পরিবেশকর্মীদের একাংশ। এক পরিবেশবিদের কথায়, ‘‘উচ্ছেদ অভিযানের সঙ্গে ভোট রাজনীতি জড়িত। ফলে এ রাজ্যে তা হওয়া সম্ভব বলে মনে হয় না!’’

এই চাপান-উতোরের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার পরিবেশ আদালত মামলার সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষকে দু’সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিয়ে নিজেদের অবস্থান জানাতে বলেছে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১১ অক্টোবর।

রেলের তরফে এ দিন আদালতে জানানো হয়, এর আগে ২০২২ সালেও একাধিক বার উচ্ছেদ অভিযানে হাওড়া জেলা প্রশাসনের সাহায্য চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু জেলা প্রশাসন উত্তর দেয়নি। চলতি মাসের ১৫ তারিখে রেলের তরফে জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে উচ্ছেদ অভিযানের জন্য ২০ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করার আর্জি জানানো হয়। ঘটনাপ্রবাহ জানাচ্ছে, ১৯ সেপ্টেম্বর সাঁতরাগাছি পুলিশের তরফে রেলকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, ২০ তারিখ গণেশ চতুর্থী ও বিশ্বকর্মা পুজোর কারণে পর্যাপ্ত পুলিশি বন্দোবস্ত করা সম্ভব নয়। তাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। তাই অন্য দিন ঠিক করা হোক। কিন্তু রেলের দাবি, সাঁতরাগাছি ঝিলের দূষণ কমানো থেকে শুরু করে রেলের জমি থেকে জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ অভিযানের প্রক্রিয়া, সবই ব্যাহত হচ্ছে হাওড়া প্রশাসনের সক্রিয়তার অভাবে। যার পরিপ্রেক্ষিতে মামলার আবেদনকারী সুভাষ দত্ত জানাচ্ছেন, সাঁতরাগাছি ঝিলের মামলা বহু বছর ধরে চলছে। এখনও মূল সমস্যার নিষ্পত্তি হল না। তাঁর কথায়, ‘‘শুধুমাত্র হলফনামা-পাল্টা হলফনামা চালাচালি করছে কেন্দ্র-রাজ্য। আসল সমস্যা সমাধানে কারও সদিচ্ছা নেই।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

National Green Tribunal South Eastern Railway Howrah Police Howrah Municipality Eviction Notice

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

ক্যানসেল করতে পারবেন আপনার সুবিধামতো

Best Value
প্রতি বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
প্রতি মাসে

৪২৯

১৬৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।