মন্দিরে ধর্নায় যুবতী। — নিজস্ব চিত্র।
বাপের বাড়িতে প্রতি দিন হেনস্থা করা হয় তাঁকে। দাদার আশকারায় বৌদি তাঁকে গত ২০ বছর ধরে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে অত্যাচার করছেন বলে অভিযোগ যুবতীর। নিজের বাড়িতেই সমস্ত অধিকার থেকে বঞ্চিত, এই অভিযোগে মন্দিরে ধর্নায় বসলেন পিয়ালী পাল। শনিবার সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল হুগলির ডানকুনি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে। যুবতীকে ধর্না প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশও।
শনিবার সকালে ডানকুনির চামুণ্ডা মন্দিরে তখন দর্শনার্থী এবং ভক্তদের মোটামুটি ভিড়। তাঁদের চোখ গেল এক যুবতীর দিকে। সালোয়ার-কামিজ পরে বসে থাকা যুবতীর চোখে জল। তাঁর গলায় দু’টি পোস্টার ঝুলছে। একটিতে লেখা, ‘স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে বাঁচতে চাই’। অন্যটিতে লেখা, ‘ন্যায্য অধিকার চাই’। তাঁর কাছে কয়েক জন এগিয়ে যেতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন যুবতী। জানান, বাপের বাড়ি থেকে তাঁকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন বৌদি। গত ২০ বছর ধরে তাঁকে প্রতি দিন বাড়িতে অপমান করা হয়। তিনি আরও জানান, বাবা মারা গিয়েছেন। সম্পত্তির ভাগাভাগি হয়নি। মায়ের তেমন পড়াশোনা নেই। এই সুযোগে সমস্ত পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে নিতে চাইছেন দাদা-বৌদি। তাই বিচারের জন্য মন্দিরে এসে বসেছেন তিনি। পিয়ালীর কথায়, ‘‘নিজের বাড়িতে অশিক্ষিত এবং পরাধীন হয়ে বাঁচতে পারব না। বৌদি ২০০২ সাল থেকে আমার উপর অত্যাচার করছে। আমার গায়েও হাত তোলে। প্রতি দিন শারীরিক এবং মানসিক ভাবে অত্যাচারিত হতে হয়।’’ পিয়ালীর আরও অভিযোগ, এ নিয়ে একাধিক বার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু কোনও সমাধান মেলেনি। তাই অধিকারের দাবিতে ধর্নায় বসেছেন।
এই ধর্নার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ডানকুনি থানার পুলিশ। চামুণ্ডা মন্দিরে গিয়ে যুবতীর সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁকে আশ্বস্ত করতে গেলে যুবতীর প্রশ্ন, ‘‘আমি বাড়িতে শান্তিতে থাকতে পারব তো?’’
অন্য দিকে, পিয়ালীর বৌদি পাপিয়া পালের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে যুবতীর দাদা সমিত পাল বোনের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি পরিবারের বড় সন্তান। অনেক দায়-দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু কুড়ি বছর আগে তার বিয়ে হওয়া ইস্তক স্ত্রীর সঙ্গে অবিবাহিত বোনের সঙ্গে অশান্তির শুরু হয়। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছয় যে ডানকুনি থানায় ডায়েরি করেন। তাঁর কথায়, ‘‘বোন নাটক করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy