ফাঁকা আরামবাগ বাস স্ট্যান্ড। রবিবার সকালে। নিজস্ব চিত্র।
রবিবার ছুটির দিনে পথে গাড়ি-বাস এমনিতেই থাকে কম। তার মধ্যে কলকাতায় তৃণমূলের ‘জনগর্জন সভা’য় চলে গিয়েছিল অনেকগুলি। আর তার জেরে রবিবার দিনভর নাকাল হলেন হাওড়া ও হুগলির যাত্রীরা। তবে যাত্রী ভোগান্তির কথা মানেননি তৃণমূল নেতারা। তাঁদের দাবি, গাড়ি, বাস তোলা হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু অধিকাংশ কর্মী ট্রেনে চেপে কলকাতা গিয়েছিলেন।
হাওড়া গ্রামীণের আমতা, শ্যামপুর, জয়পুর উদয়নারায়ণপুর প্রভৃতি রুটে এ দিন বাসের দেখা মেলেনি বললেই চলে। পুরোপুরি বাসের উপরে নির্ভরশীল উদয়নারায়ণপুর। এ দিন সেখানে একটাও বাস ছিল না। ফলে ট্রেকারগুলিতে ভিড় হয়। উদয়নারায়ণপুরের বাস মালিক সংগঠনের নেতা তথা উদয়নারায়ণপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত দাস বলেন, ‘‘রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় যাত্রীর সংখ্যা কম ছিল। কিছু বাস চলেছে। মানুষের সমস্যার কথা কিছু কানে আসেনি।’’
রবিবারের এই ব্রিগেড সভায় আরামবাগ মহকুমায় এ বার সব বাস তুলে নেওয়া হয়নি। আরামবাগ-বর্ধমান রুটে প্রায় ৪০ শতাংশ গাড়ি চলাচল করে দুর্ভোগ অনেকটা সামলানো বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বাস মালিক সংগঠনের কর্মকর্তা শান্তনু গুপ্ত। তারকেশ্বর থেকে আরামবাগ হয়ে দূরপাল্লার গাড়ি ছিল না বললেই চলে। সংশ্লিষ্ট রুটে খালি বাঁকুড়া ও দুই মেদিনীপুরগামী ১০ শতাংশ বাস চলেছে বলে জানান দূরপালার বাস মালিক সংগঠনের (হুগলি ইন্টার রিজিয়ন) সম্পাদক গৌতম ধোলে।
তবে তারকেশ্বর থেকে গোঘাটের খানাকটি পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করায় স্টেশন সংলগ্ন এলাকার যাত্রীদের সুবিধা হয়। তাছাড়া ১৫-২০ কিলোমিটার রাস্তায় বিস্তর টোটো-অটো চলাচল করছে। দূরবর্তী গন্তব্যে পৌঁছতে ব্যক্তি মালিকানার অনেক ভাড়া গাড়িও ছিল। সেক্ষেত্রে যাতায়াত অনেকটা ব্যয়বহুল হয়েছে বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।
পান্ডুয়া থেকে অটো ও টোটো ইউনিয়নের চালকরা যোগ দিয়েছিলেন এ দিনের সভায়। তার জেরে পান্ডুয়ায় টোটো-অটো দেখা যায়নি। সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। বিকেলের পর পরিস্থিতি অবশ্য স্বাভাবিক হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy