—প্রতীকী চিত্র।
দিন দুয়েক আগে ডোমজু়ড়ের একটি নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে বাড়িতে পালিয়েছিলেন ১৫ জন নেশাগ্রস্ত। শুক্রবার তাঁদের অনেককে ফের ওই কেন্দ্রেই ফেরাতে চেয়ে যোগাযোগ করলেন পরিজনরা। তবে বিষয়টি ভেবে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। পুলিশ জানিয়েছে, পলাতকদের সকলেরই খোঁজ মিলেছে। কেন তাঁরা পালিয়েছিলেন, তা জানার চেষ্টা চলছে।
ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রের সম্পাদক সৌরভ বক্সীর দাবি, ‘‘এখানে ৭৬ জন নেশাগ্রস্ত রয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে নেশামুক্তি করানো হয়। পদ্ধতি চলাকালীন নেশাগ্রস্তদের শারীরিক নানা সমস্যা হয়। সেটা থেকে মুক্তি পেতেই হয়তো অনেকে পালিয়েছিলেন।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘অনেকেই ফের এখানে ফিরতে চাইছেন। তাঁদের ফেরানো হবে কি না, সেটা আমরা খতিয়ে দেখছি।’’
গত বুধবার রাত ৯টা নাগাদ ডোমজুড়ের ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রের দোতলা থেকে লাফ মেরে পালিয়েছিলেন ওই নেশাগ্রস্তরা। কেন্দ্র সূত্রে জানানো হয়েছে, মূল যাতায়াতের পথ ক্লোজ় সার্কিট ক্যামেরা থাকলেও ঘরে সেই ব্যবস্থা নেই। দোতলার একটি ঘরে জনা ২০ যুবক ছিলেন। আর সেই ঘরের জানলার গ্রিল সামান্য ভাঙা ছিল। কেন্দ্রের এক কর্মীর কথায়, ‘‘গ্রিলের ভাঙা অংশটা টেনে আরও বড় করে ফেলেছিল ওরা। তিন জনকে আটকানো গিয়েছে। তবে বাকি ১৫ জন ঝাঁপ কেটে পালায়।’’
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ওই রাতে যাঁরা পালিয়েছিলেন তাঁরা মূলত হাওড়া, কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা। পরিজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, কেউ সেই রাতেই, কেউও বা বৃহস্পতিবার বাড়িতে ফিরে যান।
নেশামুক্তি কেন্দ্রে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ প্রায়ই ওঠে। তবে এ ক্ষেত্রে ওই নেশাগ্রস্তদের পরিজনদের তেমন অভিযোগ নেই। উল্টে তাঁদের প্রায় সকলে ফের ওই যুবকদের কেন্দ্রে ফেরাতে আগ্রহী। হাওড়ার এক প্রৌঢ়া বলেন, ‘‘ছেলেটা কিশোর বয়স থেকে ড্রাগের নেশায় পড়েছিল। দু’বছর ধরে চিকিৎসায় অনেকটা ভাল ফলও মিলেছে। সকলের পাল্লায় পড়ে বাড়ি পালিয়ে এসেছে ঠিকই। তবে শুক্রবার সকালে ওই কেন্দ্রে রাখার জন্য ফের আবেদন করেছি। আমার ছেলেও তাই চায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy