নিমাইতীর্থ ঘাটে পুলিশী নিরাপত্তা। ছবি: কেদারনাথ ঘোষ।
কাল, মঙ্গলবার থেকে শ্রাবণী মেলা শুরু হচ্ছে তারকেশ্বরে। এক মাস ধরে অসংখ্য পুণ্যার্থী বৈদ্যবাটীর ছ'টি গঙ্গার ঘাট থেকে জল তুলে হেঁটে যাবেন ওই শৈবতীর্থে। পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে নানা ব্যবস্থা করেছে বৈদ্যবাটী পুরসভা। বাড়ানো হচ্ছে নজরদারি। গত বছরের মতো এ বারও তারকেশ্বরে ভিড় উপচে পড়বে বলে মনে করছেন অনেকে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, নিমাইতীর্থ ঘাটে অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে পুণ্যার্থীদের শহরের অন্য ঘাটগুলি থেকেও জল তোলার অনুরোধ করা হবে। প্রতি ঘাটে সিসিক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এ বাদেও শেওড়াফুলির ছাতুগঞ্জ থেকে বৈদ্যবাটী জোড়া অশ্বত্থতলা, ১১ নম্বর রেলগেট এবং নিমাইতীর্থ ঘাট থেকে দিল্লি রোডের দীর্ঘাঙ্গি চৌমাথা পর্যন্ত সিসিক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। দু’টি স্বাস্থ্য শিবিরে তিনটি অ্যাম্বুল্যান্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সর্বক্ষণের জন্য থাকবেন। চার দিন করে (শুক্র থেকে সোমবার) সেখানে ওয়ালশ হাসপাতালের চিকিৎসকেরাপরিষেবা দেবেন।
পুরপ্রধান পিন্টু মাহাতো বলেন, ‘‘রাস্তা দখল করে দোকান করা যাবে না। খাবারের দোকানে উনুন ভিতরে রাখতে হবে। শহরের সব গণ-শৌচালয় সংস্কার ও পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তায় ঘাটের অংশ ঘেরা হয়েছে। নিমাইতীর্থ-সহ দু’টি ঘাটে স্পিড বোট নিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীমোতায়েন থাকছে।”
মেলার প্রস্তুতিতে সম্প্রতি শ্রীরামপুরে মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে প্রশাসনের তরফে সব পক্ষকে নিয়ে একটি বৈঠক আয়োজন করা হয়। মহকুমাশাসক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বৈদ্যবাটীর পুরপ্রধান এবং চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকরা। এ ছাড়াও, বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা, দমকল, রেল পুলিশ, রেল সুরক্ষা বাহিনীর আধিকারিকরাও ছিলেন।
চন্দননগর কমিশনারেটের এক পুলিশ আধিকারিক জানান, নজরদারিতে ড্রোন ওড়ানো হবে। পুণ্যার্থীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণে বৈদ্যবাটীর ১৫টি জায়গায় ড্রপগেট করা হয়েছে। শুভতলার রেলের ফুট ওভারব্রিজ বন্ধ রাখা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে পর্যাপ্ত পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়ার ও স্বেচ্ছাসেবক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy