খানাকুল-২ ব্লকের চিংড়া পঞ্চায়েতে পরিদর্শনে মহকুমাশাসক সুভাষিণী ই এবং সেচ দফতরের আধিকারিকেরা। নিজস্ব চিত্র
গত বছরের গোড়ায় বিশ্ব ব্যাঙ্কের সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে হুগলি জেলায় কাজ শেষ হয় গত বছরের গোড়ায়। এ বার দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের প্রক্রিয়া শুরু হল।
সেচ দফতর জানিয়েছে, এই দফায় সব কাজই হবে আরামবাগ মহকুমায় (খানাকুল-১ ও ২, আরামবাগ এবং পুরশুড়া ব্লকে)। বুধবার খানাকুলের দু’টি ব্লক এলাকায় কাজের ক্ষেত্রগুলি পরিদর্শন করেন মহকুমাশাসক সুভাষিণী ই এবং জেলা ও মহকুমা সেচ দফতরের আধিকারিকরা। শুরু হয়ে গিয়েছে জরিপের কাজও। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের জেলা সেচ দফতরের এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার জিশু দত্ত জানিয়েছেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের জন্য ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
জেলা সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার প্রকল্পের আওতায় রয়েছে— প্রথম পর্যায়ে বাকি থেকে যাওয়া মুণ্ডেশ্বরী নদীর ১১.১৮ কিমি থেকে পলি তোলা, ওই নদীর শাখা ‘কাটা খাল’-এর ৬.৭৫ কিমি, হুড়হুড়া খালের ৮.০৩৪ কিমি এবং আপার রামপুর খালের বেশ কিছুটা অংশের পলি তোলা। এ ছাড়া, আরামবাগ, পুরশুড়া এবং খানাকুলের দু’টি ব্লক এলাকার মধ্যে দিয়ে যাওয়া মুণ্ডেশ্বরীর দুই তীরের ক্ষতিগ্রস্ত পাড় বোল্ডার দিয়ে মজুবত করা। খানাকুল-১ ব্লকের অরুন্ডা পঞ্চায়েত এলাকার যোগীকুণ্ডতে হরিণাখালি খালের উপর স্থায়ী সেতুও হবে।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহায়তায় এই প্রকল্পের (ওয়েস্ট বেঙ্গল মেজর ইরিগেশন অ্যান্ড ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট) প্রথম পর্যায়ের কাজগুলির মধ্যে ছিল মুণ্ডেশ্বরী নদীর ১৯ কিমি অংশের (বর্ধমানের শেষ প্রান্ত বেগুয়াহানা থেকে আরামবাগের অরুণবেড়া পর্যন্ত) পলি তোলা। এ ছাড়া, রনের খালের ১৮.৬৬ কিমি সংস্কার। দামোদর নদের বাঁ তীর বরাবর বর্ধমানের প্রান্তঘেঁষা সোনাগোড়িয়া থেকে পুরশুড়া হয়ে জাঙ্গিপাড়ার পশপুর পর্যন্ত ৩৯.২০ কিমি বাঁধের আমূল সংস্কার।a
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy