ভেঙে গিয়েছে আসন (বাঁ দিকে)। খসে পড়ছে ফলস সিলিং। নিজস্ব চিত্র
প্রেক্ষাগৃহের দেওয়ালে খোলা অবস্থায় ঝুলছে বিদ্যুতের তার। পাখা ভাঙা। চেয়ার ভেঙে পড়ে রয়েছে। ফলস সিলিংয়ের অনেকাংশ ভেঙে পড়ছে। এই সবকে সঙ্গী করেই কোনওক্রমে খুঁড়িয়ে চলছে বৈদ্যবাটী পুরসভার সত্যজিৎ রায় ভবন। এলাকাবাসীর প্রশ্ন, কেন ওই ভবন সংস্কার করা
হচ্ছে না। তবে পুর-কর্তৃপক্ষের
আশ্বাস, প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে দ্রুত এই প্রেক্ষাগৃহটি সাজিয়ে তোলা হবে।
এই প্রেক্ষাগৃহের পথচলা শুরু ১৯৯৫ সালে। প্রায় সাড়ে পাঁচশো আসন বিশিষ্ট এই প্রেক্ষাগৃহ শুরু থেকেই ঠিক ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। তার ফলে তৈরির ২৮ বছরের মধ্যে ভেঙে পড়ে রয়েছে বসার চেয়ার। শৌচালয়ের অবস্থা বেহাল। বিভিন্ন জায়গায় খুলে গিয়েছে ফলস্ সিলিং। তবে পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রেক্ষাগৃহের ভিতরে তিন দিকে বাঁশের ব্যারিকেড বেঁধে রাখা হয়েছে। কোনও অনুষ্ঠানের আগে তা কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। সিলিং ঠিক আছে কি না তাও দেখে
নেওয়া হয়।
এই শহরের আবৃত্তি শিল্পী গৌরী ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘প্রাক্তন পুরপ্রধানকে এটি সংস্কার করার জন্য বহুবার জানানো হয়েছিল। তারপরও কোন কাজ হয়নি। এই শহরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থাদের চন্দননগর ও কলকাতায় গিয়ে অনুষ্ঠান করতে হয়।’’ নৃত্যশিল্পী মৌসুমী শীলের খেদ, ‘‘এই শহরে সত্যজিৎ রায় ভবন ও সুভাষ সদন— দু'টো প্রেক্ষাগৃহ থাকা সত্ত্বেও শহরের বাইরে গিয়ে অনুষ্ঠান করতে হচ্ছে। এটা শহরবাসীর কাছে
লজ্জার বিষয়।’’
পুরপ্রধান পিন্টু মাহাতো বলেন, ‘‘প্রেক্ষাগৃহটিকে আধুনিকীকরণের জন্য বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) নগরোন্নয়ন সংস্থার পোর্টালে কাজের বিবরণ তোলা রয়েছে। টাকা মঞ্জুর হলে দ্রুত সংস্কার শুরু করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy