সাঁতরাগাছি সেতুকে স্বাভাবিক ভাবে শুরু হয়েছে যান চলাচল। নিজস্ব চিত্র।
এক মাস ধরে সাঁতরাগাছি সেতুর মেরামতির জন্য তৈরি হওয়া তীব্র যানজটের অবসান হল শুক্রবার। ভোর ৫টা থেকে পুরোপুরি খুলে দেওয়া হল সাঁতরাগাছি সেতু। ফলে কলকাতা ঢোকা এবং বেরনো—দু’দিকেই স্বাভাবিক যান চলাচল দেখা গেল শুক্র সকালে।
গত ১৯ নভেম্বর থেকে এক মাস ধরে সেতু মেরামতের কাজ চলার জন্য সেতুতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল। বন্ধ করে দেওয়া হয় পণ্যবাহী গাড়ি যাতায়াতও। শুক্রবার ভোর থেকে সেতুর পথ ধরে আবার চলতে পণ্যবাহী যান চলাচল শুরু হয়েছে।
নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয়েছে এই সেতু মেরামতির কাজ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, সেতু মেরামতির কাজ ভাল ভাবে করার পাশাপাশি বড়দিনের আগেই কাজ শেষ করতে হবে। কলকাতা এবং হাওড়াবাসীকেও সেই আশ্বাস তিনি দিয়েছিলেন। নির্দেশ মতোই বড়দিনের দু’দিন আগে শুক্রবার ভোরে সাঁতরাগাছি সেতু সম্পূর্ণ ভাবে খুলে দিল পূর্ত দফতর।
সাঁতরাগাছি সেতু ধরে যাতায়াত করা নিত্যযাত্রী সৌরদীপ সামন্ত বললেন, ‘‘সেতুর কাজ চলার সময় বেশ কয়েক দিন যানজটের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। বাড়ি থেকে অফিসের জন্য তাড়াতাড়ি বেরোতে হত। কিন্তু সেই ভোগান্তি অনেকটাই কমল। শুক্রবার সকালে যাতায়াত করার সময় দেখলাম, যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। আমরা যারা ওই পথে রোজ যাতায়াত করি, তাদের জন্য অনেকটাই স্বস্তি।’’
প্রসঙ্গত, দু’দিন আগে থেকেই ধীরে ধীরে সেতুর উপর থেকে যন্ত্রপাতি সরাতে দেখা গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার সেতুতে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারিও চালায় হাওড়া সিটি পুলিশ। এ নিয়ে রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী জানান, শেষ হয়েছে সেতু সংস্কারের কাজ। শুক্রবার থেকেই স্বাভাবিক ভাবে সাঁতরাগাছি সেতুতে যান চলাচল করবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। সেতু খুললে বড়দিনের আগেই যানজটের হয়রানি থেকে যাত্রীরা মুক্তি মিলবে বলেও পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের আশা।
গত ১৯ নভেম্বর থেকে মেরামতির জন্য সাঁতরাগাছি সেতুতে যান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল। রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হচ্ছিল যান চলাচল৷ পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, সাঁতরাগাছি সেতুর এক্সপ্যানসন জয়েন্টগুলি খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আর সেই জন্যই তড়িঘড়ি সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়।
কলকাতায় ঢোকার অন্যতম পথ এই সাঁতরাগাছি সেতু। নিত্য প্রায় ৮০ হাজার গাড়ি এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করে। এমন গুরুত্বপূর্ণ সেতুতে সংস্কারের কাজ চলায় যানজটের জেরে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছিল যাত্রীদের। সেই ভোগান্তিরই অবসান হল শুক্রবার সকালে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy