বিধায়ক অসিত বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘চামড়া গুটিয়ে দেব ওদের। আমাদের অনেক কর্মীর রক্ত গিয়েছে।’’ —নিজস্ব চিত্র।
তাঁদের অনেক কর্মীর রক্তক্ষয় হয়েছে। আর নয়। এমনই অভিযোগ করে বিরোধীদের ‘চামড়া গুটিয়ে দেব’ বলে হুঙ্কার দিলেন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। চুঁচুড়ার বিধায়কের অভিযোগ, বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেস এখন মঞ্চ ভাগাভাগি করে রাজনীতি করছে। শাসকদলের কর্মীদের উপর আক্রমণ হচ্ছে।
সোমবার চুঁচুড়া ঘড়ির মোড়ে সভা করে তৃণমূল। সেখানে বক্তা ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক অসিত। তিনি বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘চামড়া গুটিয়ে দেব ওদের। আমাদের অনেক কর্মীর রক্ত গিয়েছে।’’ বিধায়কের সংযোজন, ‘‘২০১১তে (বিধানসভা ভোট) কিছু বলিনি। ২০১৬ সালে কিছু বলিনি। ২০২১ সালেও কিছু বলিনি। কিন্তু বলার সময় বলব। ২০১১ সালের আগে অন্তত ১০০ বুথে আমাদের এজেন্ট উঠে যেত ৮টায়। আর এখানে বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস ডায়াস ভাগাভাগি করছে।’’
তৃণমূল বিধায়ক এর পর বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন। অসিত কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘‘ভাল সাজার দরকার হলে ঘড়ির মোড়ে আসেন লকেট। না হলে চুঁচুড়ার মানুষ তাঁকে দেখতে পান না। সেজেগুজে আসেন আর বলেন, ইডি যাবে। সিবিআই যাবে। যেন বাপের জমিদারি! ইডি-সিবিআই দিয়ে সারা ভারতবর্ষ চালাবে!’’
বিধায়কের এই মন্তব্যের সমালোচনা করেন বিরোধীরা। গুপ্তিপাড়ায় সভা করতে এসে অসিতের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ডিওয়াইএফের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যদি এমন উনি বলে থাকেন তা হলে পুলিশের উচিত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা। নির্বাচনের আগে কেন এ রকম কথা বলে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে চাইছেন, জিজ্ঞাসা করা দরকার।’’
হুগলির বিজেপি নেতা সুরেশ সাউ বলেন, ‘‘বিধায়কের এই ধরনের বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার যে মানুষের রায়ের উপর তাঁদের আস্থা নেই। দলের কর্মীদের বার্তা দিচ্ছেন যে নির্বাচনে সন্ত্রাস করতে হবে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘তবে বিজেপিও প্রস্তুত রয়েছে। কে কার চামড়া গুটিয়ে নেয়, সেটা সময় বলবে।’’ লকেট সম্পর্কে এর আগেও বিভিন্ন কথা বলেছেন অসিত। বিজেপি নেতার কটাক্ষ, ‘‘এটা ওদের দলের সংস্কৃতি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy