তছনছ করা হয়েছে আলমারি। নিজস্ব চিত্র
আট বছরের বালিকার গলায় ছুরি ধরে খানাকুলের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে বেশ কিছু সোনার গয়না এবং নগদ লক্ষাধিক টাকা লুটপাট করে পালাল দুষ্কৃতীরা। বাড়ির লোকজনকে মারধরও করা হয়।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ওই ঘটনার খবর পেয়েই সুন্দরপুর গ্রামের ওই বাড়িতে পুলিশ যায়। তবে, শুক্রবার রাত পর্যন্ত পুলিশ কাউকে ধরতে পারেনি। ওই বাড়ির একটি শৌচাগার এবং রান্নাঘর তৈরি হচ্ছে। বাড়ির সঙ্গে ওই দুই নির্মাণের সংযোগের মুখে এখনও গ্রিল বসেনি। তদন্তকারীরা মনে করছেন, সেই ফাঁকা অংশ দিয়ে দুষ্কৃতীরা বাড়ির অন্দরমহলে ঢোকে।
এসডিপিও (আরামবাগ) অভিষেক মণ্ডল বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। খতিয়ে দেখা হয়েছে, বেশ কিছু আলমারি ভেঙে মোট ২৩০ গ্রাম সোনার গয়না নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। একটি আলমারি থেকে সোনা নিতে পারেনি। নগদ টাকা লুটপাটের অভিযোগ ওই পরিবার থেকে করা হয়নি।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পরিবারের কর্তা কার্তিক মণ্ডল ও তাঁর দুই ভাইয়ের সোনার কারবার রয়েছে চেন্নাইতে। সেই সূত্রে কার্তিক এবং তাঁর ভাইরা বেশির ভাগ সময়ে সেখানেই থাকেন। বৃহস্পতিবার বাড়িতে ছিলেন কার্তিকের বাবা প্রশান্তবাবু, মা ছন্দাদেবী এবং ঠাকুমা কালোবালাদেবী। কার্তিকবাবুর আর এক ভাই প্রবীর স্ত্রীকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য বেঙ্গালুরু যাওয়ায় তাঁদের বছর আটেকের মেয়ে স্নিগ্ধাও এখন ওই বাড়িতে রয়েছে। তার গলাতেই ছুরি ধরে দুষ্কৃতীরা খুনের হুমকি দিয়ে লুটপাট চালায় বলে ওই পরিবারের অভিযোগ।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছন্দাদেবী জানান, আট জন দুষ্কৃতী শাবল ও ধারাল অস্ত্র নিয়ে আসে। তাদের মধ্যে চারজন প্রথমে তাঁর ঘরের ছিটকিনি ভেঙে ঢোকে। সকলের মুখ খোলা থাকলেও চৌকাঠের বাইরে থাকা একজনের মুখ গামছায় বাঁধা ছিল। সে-ই নির্দেশ দিচ্ছিল।
ছন্দাদেবী বলেন, ‘‘ওরা আমার স্বামীর হাত দু’টো পিছমোড়া করে গামছা দিয়ে বাঁধে। গলায় ছুরি ঠেকিয়ে কোথায় কী আছে জানতে চায়। আমি চেঁচাতেই মুখে ঘুষি মারে। আর কিছু মনে নেই।” প্রশান্তবাবু বলেন, “স্ত্রী অজ্ঞান হয়ে গেলে ঘরের আলমারি ভেঙে ওরা লুটপাট চালায়। ততক্ষণে অন্য কয়েকজন পাশের ঘর থেকে আমার নাতনি এবং মাকে এনে আমার ঘরে ঢোকায়। তারপরে মায়ের মুখে বালিশ চাপা দিয়ে তাঁর চেঁচামেচি বন্ধ করে। নাতনির গলায় ছুরি ধরে কোথায় কী আছে জেনে সব ঘরের আলমারি ভেঙে তছনছ করে। যাওয়ার সময় নাতনির কানের দুল দু’টোও কেটে নিয়ে পালায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy