বেপরোয়া ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু সাত জনের। — নিজস্ব চিত্র।
সাতসকালে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল শিশু-সহ সাত জনের। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির গুড়াপের কাংসারিপুর মোড়ে। জানা গিয়েছে, গুড়াপের দিকে যাচ্ছিল একটি টোটো। তীব্র বেগে ছুটে এসে একটি ডাম্পার ধাক্কা মারে টোটোয়। তাতেই মৃত্যু হয় ছ’জনের। মৃতদের মধ্যে রয়েছে মা-বাবা এবং তাঁদের সন্তান, এক কলেজপড়ুয়াও। ডাম্পারের চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয় টোটোচালকের।
পুলিশ সূত্রে খবর, গুড়াপের কংসারিপুর মোড়ে চুঁচুড়া দশঘরা ২৩ নম্বর সড়কে একটি টোটোকে ধাক্কা মারে একটি ডাম্পার। টোটোটি ভাস্তার দিক থেকে গুড়াপের দিকে যাচ্ছিল। যাত্রীসমেত টোটোটি ঢুকে যায় ডাম্পারের নীচে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় মানুষ এবং গুড়াপ থানার পুলিশ ডাম্পারের নীচ থেকে যাত্রীদের টেনে বার করেন। পুলিশ জানিয়েছে, অচৈতন্য অবস্থায় ডাম্পারের নীচ থেকে মোট ছ’জনকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসকরা পাঁচ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন, বাকি দু’জনের পরে মৃত্যু হয়।
হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন জানিয়েছেন, ডাম্পার চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, টোটোয় ছিলেন, বিদ্যুৎ বেরা এবং তাঁর স্ত্রী প্রীতি বেরা, সম্পর্কে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী। দম্পতি দু’বছরের সন্তান বিহানকে নিয়ে যাচ্ছিলেন গুড়াপের দিকে। টোটোয় ছিলেন পাণ্ডুয়ার রামেশ্বরপুরের বাসিন্দা রামপ্রসাদ দাস এবং তাঁর স্ত্রী নূপুর দাসও। মৃত্যু হয়েছে সৃজা ভট্টাচার্য নামে এক কলেজছাত্রীর। তাঁর বাড়ি ভাস্তারায়। মৃত টোটোচালকের বাড়িও গুড়াপেই।
স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ হানিফ বলেন, ‘‘টোটোয় চালক সমেত সাত জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একটি শিশু, তার মা-বাবা, এক কলেজছাত্রীও। কেউ ডাক্তার দেখাতে, কেউ কাজে যাচ্ছিলেন। বেপরোয়া ডাম্পার টোটোকে পিষে দিল। যাত্রী, চালক— সকলেই মারা গেলেন। কাউকে বাঁচাতে পারলাম না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy