চুঁচুড়া ইন্ডোর স্টেডিয়াম। — নিজস্ব চিত্র।
ঢক্কানিনাদ কম হয়নি। প্রশাসনের কর্তা থেকে জনপ্রতিনিধি— সকলেই গড়গড়িয়ে বলেছিলেন, কোন কোন খেলা হবে হুগলির জেলা সদর চুঁচুড়ায় নির্মিত ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। উদ্বোধনের পরে সাড়ে পাঁচ মাস পার। শহরের গোর্খা ময়দানে সাড়ে পাঁচ কোটির ওই স্টেডিয়াম খোলাই হয় না। ফলে, কোনও খেলাই হয় না।
বিভিন্ন খেলার সঙ্গে যুক্ত খেলোয়াড়, কোচ বা অভিভাবকরা এ নিয়ে ক্ষুব্ধ। স্টেডিয়াম কবে কাজে লাগবে, নির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না প্রশাসন। রক্ষণাবেক্ষণের খরচ কোথা থেকে আসবে, তা নিয়ে প্রশ্নেরও কোনও সুরাহা হয়নি। সব মিলিয়ে গঙ্গাপাড়ের ইন্ডোর স্টেডিয়ামের কার্যকারিতা অথৈ জলে।
হাওড়ায় প্রশাসনিক সভা থেকে গত ৯ ফেব্রুয়ারি এই ইন্ডোর স্টেডিয়ামের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শীত গিয়ে গ্রীষ্ম পেরিয়ে ক্যালেন্ডারে বর্ষা। কবে খেলাধুলো হবে সেখানে, উত্তর খুঁজছে ক্রীড়া মহল। একই প্রশ্ন শহরের সাধারণ মানুষের।
মহকুমাশাসক (সদর) সৈকত গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, স্টেডিয়াম চালুর জন্য প্রশাসনিক তৎপরতা রয়েছে। কী ভাবে রক্ষণাবেক্ষণের খরচ উঠবে, সে বিষয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে। স্টেডিয়ামে একটি কোর্ট তৈরি করা হয়েছে। কয়েকটি বাকি রয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যস্ততার জন্য সে দিকে নজর দেওয়া যায়নি। এ বার অবিলম্বে স্টেডিয়াম চালুর ব্যাপারে প্রশাসন উদ্যোগী হবে।
স্টেডিয়ামের দ্বারোদঘাটনের সময় স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার জানিয়েছিলেন, এখানে টেবিল টেনিস, বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টন, ভলিবল প্রভৃতি খেলা হবে। জেলার ছেলেমেয়েরা এই সব খেলার প্রশিক্ষণও নিতে পারবেন এখানে।
ক্রীড়াপ্রেমীরা চান, অবিলম্বে ওই স্টেডিয়ামে খেলাধুলো শুরু হোক। কারণ, ইন্ডোরে প্রশিক্ষণ নিতে হলে খেলোয়াড়দের দূরে যেতে হয়। তাতে অর্থের সঙ্গে সময়ও অপচয় হয়। অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় স্তরের ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় স্বাগতা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘চুঁচুড়ার ইন্ডোর স্টেডিয়ামে খেলার জন্য আমরা মুখিয়ে রয়েছি।’’
অনেকেরই বক্তব্য, বর্ষার সময় খোলা মাঠে অনুশীলন করা সম্ভব হয় না। ফলে, ইন্ডোর স্টেডিয়াম জরুরি হয়ে পড়ে। এখন বর্ষার মরসুম।অথচ, এখানে ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকেও নেই।
চুঁচুড়া ময়দানের খোঁজখবর নিয়মিত রাখেন, এমন অনেকে জানান, বছর খানেক আগে স্টেডিয়ামে নীল রঙের প্রলেপ পড়ে। তখন ভাবা গিয়েছিল, শীঘ্রই স্টেডিয়াম খেলোয়াড়দের জন্য উন্মুক্ত হবে। কিন্তু, তারও মাস ছয়েক পরে আনুষ্ঠানিক ভাবে দ্বারোদঘাটন হয়। কিন্তু,কাজের কাজ হয়নি। স্টেডিয়াম চত্বর আগাছায় ঢেকেছে। ঢোকার পথে জমছে বৃষ্টির জল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy