—প্রতীকী চিত্র।
দু’বছর হতে চলল রাজ্যের জেলাগুলিতে একশো দিনের কাজ বন্ধ। বিকল্প কাজের দেওয়ার ব্যবস্থা হলেও হুগলির অদক্ষ শ্রমিকেরা অধিকাংশই কাজ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। গত ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের ২১ তারিখ থেকে শ্রমিকদের মজুরি, সরঞ্জাম ইত্যাদি খাতে ২৭৫ কোটি টাকা বকেয়া বলে জেলা প্রশাসনের হিসাব। এই অবস্থায় প্রকল্পের বিপর্যস্ত শ্রমিক তথা জবকার্ড হোল্ডারদের অন্যান্য সরকারি দফতরে কাজ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু চাহিদার তুলনায় তা মিলছে না বলে উঠছে অভিযোগ।
বিকল্প কাজ দেওয়ার হাল যে সন্তোষজনক নয়, তা স্বীকার করে জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “সরকারি দফতরগুলিতে জবকার্ডধারী অদক্ষ শ্রমিকদের কাজের ক্ষেত্র কম। কাজের পরিসর বাড়নো হচ্ছে। গ্রামোন্নয়ন দফতরের পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের কাজগুলিতেও তাঁদের লাগানো হচ্ছে।’’
প্রশাসন সূত্রের খবর, জেলায় জবকার্ডের সংখ্যা ৮ লক্ষ ৭৪ হাজার ১৭৬। চলতি আর্থিক বছরে এখনও পর্যন্ত ২৮টি সরকারি দফতরের বিভিন্ন কাজে ১ লক্ষ ৭ হাজার শ্রমিক কাজ পেয়েছেন ও তাঁদের মজুরি নিশ্চিত হয়েছে। শ্রম দিবস তৈরি হয়েছে ২৯ লক্ষ ৬৫ হাজার। গড়ে ২৭ দিন করে কাজ পেয়েছেন শ্রমিকেরা। কিন্তু বাকি যাঁরা ধারাবাহিক প্রকল্পের কাজ করেন, বা ওই কাজের উপরেই নির্ভরশীল, তাঁদের কী হবে প্রশ্ন তুলে বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় ক্ষোভ-বিক্ষোভ আছে।
খানাকুল-১ ব্লকের ঘোষপুরের অনিকেত মান্না, আরামবাগের তিরোলের সুশীলা দে-র অভিযোগ, তাঁরা কাজ পাচ্ছেন না। বাতানলের কুশ মণ্ডল, গোঘাট-১-এর গোঘাটের ছবি মালিকের ক্ষোভ, কোথায় গেলে তাঁরা কাজ পাবেন, সেই দিশাও ব্লক প্রশাসন বা পঞ্চায়েতগুলি দেখাতে পারছে না।
পঞ্চায়েত এবং ব্লক প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রকল্পের সমস্ত জবকার্ডধারীদের নথি সরকারি সমস্ত দফতরে পাঠানো আছে। যখন যে দফতরের কোনও প্রকল্পের কাজ হবে, সেখানে ওই শ্রমিকদের ডেকে নেওয়া হবে। যদিও অভিযোগ, বিভিন্ন দফতরের ঠিকাদারেরা যে সব কাজ জানা শ্রমিকদের নিয়ে বরাবর কাজ করাতেন, তাঁদের দিয়েই করাচ্ছেন।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় একশো দিন প্রকল্পের কাজে তহবিলের অনুপযুক্ত ব্যবহারের দায়ে ওই প্রকল্পের আইনের ২৭ নম্বর ধারা লাগু করে রাজ্যে সমস্ত কাজ এবং অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করা আছে। আরোপ করা ওই ধারা এখনও কেন্দ্রীয় গ্রমোন্নয়ন মন্ত্রক প্রত্যাহার করেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy