ডায়রিয়া রোগী বা অন্তঃসত্ত্বারা কিছু পরিষেবা পেলেও গোঘাট ১ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে অন্যান্য চিকিৎসা মেলে না বলে গ্রামবাসীদের ক্ষোভ দীর্ঘদিনের। সেখানে জনস্বাস্থ্যের সার্বিক পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবিও রয়েছে। অবশেষে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের আওতায় ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ‘জনস্বাস্থ্য ইউনিট’ নির্মাণের অনুমোদন মিলল। বুধবার ওই ইউনিট গড়ার জায়গা পরিদর্শন করলেন ব্লক স্বাস্থ্য দফতর ও পূর্ত দফতরের কর্তারা।
ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক মৈনাক দত্ত বলেন, “জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতেই এই আয়োজন। মহামারি-সহ জনস্বাস্থ্যের উপর নিবিড় নজরদারির জন্য দোতলা ভবন গড়া হবে। তাতে আধুনিক ল্যবরেটরি, মহামারি বিশেষজ্ঞ এবং তাঁর অফিস থাকবে। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিস ও ব্লক ডেটা ম্যানেজারের অফিসও হবে।” তিনি জানান, ওই ল্যবরেটরি থেকে এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি, ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া ইত্যাদির প্রাথমিক পরীক্ষা হবে।
ব্লক স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের তহবিলে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীনে দোতলা ভবন নির্মাণে বরাদ্দ হয়েছে ৫৯ লক্ষ ৭৫ হাজার ৮৮৬ টাকা। ভবন নির্মাণ করবে পূর্ত দফতর (সামাজিক)। এ দিন পরিদর্শন দলে থাকা ওই দফতরের সহকারী বাস্তুকার তমাল রায় বলেন, “দরপত্র ডাকা হবে। নিষ্পত্তি হলেই কাজ শুরু হবে। অনুমোদিত প্রকল্প ও নকশা অনুযায়ী জায়গাটা দেখে গেলাম।”
ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামো উন্নয়নের খুব দরকার ছিল জানিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ প্রদীপ রায় বলেন, “মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি মিটতে চলেছে। জেনারেটর-সহ আরও কিছু দরকার। সেগুলির জন্য স্বাস্থ্য দফতরের তদ্বিরও করা হচ্ছে।”
২০০৭ সালে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি তৈরি হয়। বর্তমানে ১০ শয্যার অন্তর্বিভাগ থাকলেও পরিষেবা সে ভাবে মেলে না বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যেতে হয় রোগীদের। বহির্বিভাগে গড়ে ২০০-২৫০ রোগীর ভিড় হয় প্রতিদিন।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)