Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪
Private Tuition

গরম খুন্তির ছ্যাঁকা! সাত বছরের পড়ুয়াকে শাস্তি গৃহশিক্ষিকার, গ্রেফতার অভিযুক্ত

পরিবারের দাবি, শাস্তির বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখার জন্য শিশুকে ভয়ও দেখান ওই গৃহশিক্ষিকা।

 শাস্তির জেরে শিশুটির পায়ে ক্ষত হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।

শাস্তির জেরে শিশুটির পায়ে ক্ষত হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হিন্দমোটর শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২১ ২১:০৬
Share: Save:

প্রথমে মারধর, তার পর গরম খুন্তির ছ্যাঁকা। অভিযোগ, সাত বছরের পড়ুয়াকে এই শাস্তিই দিয়েছেন তার গৃহশিক্ষিকা। ওই শিশুর ‘অপরাধ’— এক থেকে একশো পর্যন্ত লিখে উঠতে পারেনি সে। পরিবারের দাবি, শাস্তির বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখার জন্য শিশুকে ভয়ও দেখান ওই মহিলা। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার ওই গৃহশিক্ষিকাকে গ্রেফতার করেছে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। রবিবার তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার হুগলির কোন্নগরের বাসিন্দা রুমু ঘোষের কাছে প্রাইভেট টিউশন পড়তে গিয়েছিল বেসরকারি স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্রটি। তাকে এক থেকে একশো পর্যন্ত লিখতে বলেছিলেন রুমু। অভিযোগ, তা কিছুতেই লিখতে না পারায় শিশুটিকে শাস্তি দেন তিনি। প্রথমে স্কেল দিয়ে মারধর করেন। তার পর শিশুটির পায়ে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দিয়ে দেন। ওই শাস্তির জেরে শিশুটির পায়ে ক্ষত তৈরি হয়ে গিয়েছিল। এর পর ওই ক্ষতে মলম লাগিয়ে কাপড় বেঁধে দেন রুমু।

হিন্দমোটরের বাসিন্দা ওই শিশুর পরিবারের দাবি, শুক্রবার রাতে বা়ড়ি ফিরে কিছুই বলেনি সে। তবে পরের দিন সকালে তার পায়ে বাঁধা কাপড়ের টুকরো খুলতেই ক্ষত দেখতে পান শিশুটির মা। এর পর শিশুটির কাছে শাস্তির কথা শুনে কোন্নগর পুলিশ ফাঁড়িতে রুমুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন তাঁরা। পরিবারের আরও দাবি, শাস্তির কথা বাড়িতে না বলার জন্যও ভয় দেখিয়েছেন রুমু। যদিও রুমুর দাবি, ‘‘ভয় দেখাতে গিয়েই এমনটা ঘটেছে। শিশুটিকে কখনই আঘাত করতে চাইনি।’’

শনিবার অভিযুক্ত গৃহশিক্ষিকাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার তাঁর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন শ্রীরামপুর আদালতের বিচারক।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE