চিকিৎসাধীন বন্দনা। নিহত লক্ষ্মীকান্ত দেবনাথ (ইনসেটে)। —নিজস্ব চিত্র।
খুনের হুমকি পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক দম্পতি। আদালতের নির্দেশে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি পুলিশের। তারই মধ্যে সোমবার রাতে আক্রান্ত হলেন উলুবেড়িয়ার কুলগাছিয়া মনসাতলার দেবনাথ দম্পতি। মারা গিয়েছেন লক্ষ্মীকান্ত দেবনাথ নামে বছর পঁয়তাল্লিশের ওই ব্যক্তি। তাঁর স্ত্রী বন্দনা উলুবেড়িয়ার একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। বন্দনার অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের নিরাপত্তা দেয়নি। বিষয়টি জেনে উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাই কোর্টের বিচারপতিও।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতার করা হয়েছে খুনে মূল অভিযুক্ত প্রোমোটার রাধাকান্ত ঘোষকে। নিরাপত্তার ঢিলেমির অভিযোগ মানেনি পুলিশ। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ওই দম্পতির বাড়ির কাছে নিয়মিত পুলিশি টহল চলত। সোমবার ঘটনার পরে পুলিশ গিয়েই ওই দম্পতিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় জড়িত অন্যদের সন্ধান শুরু হয়েছে।’’
বন্দনা জানান, গ্রামে তাঁদের ৬ শতক জমি রয়েছে। পাশেই জমি আছে রাধাকান্তের। সেই জমির রাস্তা না থাকায় রাধাকান্ত দেবনাথ দম্পতির জমি দখল করতে চেয়েছিল বলে অভিযোগ। ট্রেনে হকারি করতেন লক্ষ্মীকান্ত। তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হত বলে অভিযোগ। মাসখানেক আগে নিরাপত্তার অভাবের কথা জানিয়ে বন্দনা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত দম্পতিকে পুলিশি নিরাপত্তার নির্দেশ দেন।
বন্দনার অভিযোগ, সোমবার রাত ৮টা নাগাদ কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে রাধাকান্ত ও তার দলবল হামলা করে লক্ষ্মীকান্তের উপরে। রড-বাঁশ দিয়ে মারে। আটকাতে গেলে বন্দনাকেও মারধর করা হয়। তাঁর ক্ষোভ, ‘‘পুলিশ আমাদের কোনও নিরাপত্তা দেয়নি। দিলে একটা মানুষকে এমন ভাবে খুন হতে হত না।’’
মঙ্গলবারই বিষয়টি বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের নজরে আনা হয়। জরুরি ভিত্তিতে বিচারপতি মামলাটি শোনেন। সোমবারের হামলার কথা উল্লেখ করে অভিযোগকারীর আইনজীবী সুমন্ত বিশ্বাস বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও তাঁর মক্কেল এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের কোনও নিরাপত্তা পুলিশ দেয়নি। সরকারি আইনজীবী জানান, এ দিনের ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত প্রোমোটার রাধাকান্ত ঘোষকে গ্রেফতার করেছে। আদালত অবশ্য সে কথায় সন্তুষ্ট হতে পারেনি। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি বলে বিচারপতি উষ্মা প্রকাশ করেন। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার অর্থাৎ ৪ সেপ্টেম্বর। সে দিন হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার এবং উলুবেড়িয়া থানার আইসি-কে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy