Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Theft

Theft: রুপো লুটের ঘটনায়নাম জড়াল হাওড়ার পুলিশ অফিসারের

ঘটনার সূত্রপাত গত ৭ জুন। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের বাসিন্দা, বছর পঞ্চান্নর সমীর মান্না বড়বাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২২ ০৮:০৩
Share: Save:

এক ব্যবসায়ীকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে তাঁর কাছ থেকে রুপোর গয়না লুটের ঘটনায় এ বার নাম জড়াল হাওড়া সিটি পুলিশের এক আধিকারিকের! লালবাজারের পুলিশি তদন্তে এমনটাই জানা গিয়েছে বলে খবর। ধৃত বাকি অভিযুক্তেরাই তাঁর নাম জানিয়েছেন বলে খবর। ওই আধিকারিকের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে তাঁকে ডেকে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন লালবাজারের এক পুলিশকর্তা। যদিও অভিযুক্তের বক্তব্য, ‘‘আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’’

ঘটনার সূত্রপাত গত ৭ জুন। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের বাসিন্দা, বছর পঞ্চান্নর সমীর মান্না বড়বাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তিনি জানান, ঘটনার দিন তিনি বড়বাজারে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে কয়েক কেজি রুপোর গয়না কিনে হাওড়ার বাস ধরেন। হাওড়া স্টেশনের কাছাকাছি বাস থেকে নামতেই তাঁর পথ আটকায় একটি সাদা গাড়ি। এর পরে জোর করে তাঁকে সেই গাড়িতে তোলা হয়। গাড়িটিকে নিয়ে যাওয়া হয় নিউ টাউনে। সেখানে তাঁর কাছ থেকে গয়না হাতিয়ে নেওয়া হয়। ওই ব্যবসায়ীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে প্রথমে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে হাওড়া সিটি পুলিশের দুই কনস্টেবল, সুরজিৎ সরকার ও সমীরণ পাত্র-সহ আরও চার জনকে ধরা হয়। পাশাপাশি, উদ্ধার করা হয় লুট হওয়া প্রায় ১১ কেজি রুপোর গয়নাও। ধৃতদের জেরা করেই হাওড়া সিটি পুলিশের এক আধিকারিকের নাম সামনে আসে বলে খবর। এই ঘটনায় ধৃত পুলিশকর্মীদের সোমবার ফের আদালতে তোলা হয়। আদালত থেকে জেল হেফাজতে নিয়ে যাওয়ার সময়ে ধৃত পুলিশকর্মীরা বলতে থাকেন, এই লুটে ওই পুলিশ আধিকারিকও জড়িত এবং তাঁদের ‘ফাঁসানো হয়েছে’। জেরার মুখে ধৃতেরা এমনও দাবি করেছেন যে, লুট করা রুপোর বেশ কিছুটা অংশ পৌঁছনোর কথা ছিল ওই পুলিশ আধিকারিক যে থানায় বসেন, সেখানে। তবে এই দাবি কতটা সত্যি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। প্রয়োজনে ওই পুলিশ আধিকারিককে ডেকে পাঠানো হবে।’’ যদিও অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের দাবি, ‘‘আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। এর পিছনে বড় চক্র কাজ করছে।’’ হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘এটা কলকাতা পুলিশের তদন্তের বিষয়। কলকাতা পুলিশ আমাদের কোনও তদন্তের দায়িত্ব দেয়নি।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

অন্য বিষয়গুলি:

Theft Silver
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE