অপহরণ এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার পাণ্ডুয়ার যুব তৃণমূল নেতা। — নিজস্ব চিত্র।
জোর করে নিজের গাড়িতে তুলে তরুণীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে হুগলির পাণ্ডুয়ার এক যুব তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযুক্ত শেখ মোমিন হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের পাণ্ডুয়া ব্লকের সভাপতি। যদিও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন ধৃত যুব তৃণমূল নেতা।
তরুণীর দাদুর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শেখ মোমিন হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ। রবিবারই তাঁকে চুঁচুড়া আদালতে তোলা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাতে পাণ্ডুয়ার জয়পুরের জিটি রোডের ধার থেকে বছর ১৯-এর এক তরুণীকে জোর করে নিজের গাড়িতে তুলে চম্পট দেন অভিযুক্ত মোমিন। ছ’কিলোমিটার দূরে সিমলাগড়ে গাড়ি দাঁড় করিয়ে তরুণীর শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ। তরুণীর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। ঘটনাস্থল থেকে তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পাণ্ডুয়ার কোটালপুকুর এলাকার তৃণমূল যুব নেতা সেখ মোমিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে তাঁর গাড়িটিও। জানা গিয়েছে, নিগৃহীতা তরুণীর বাড়ি জয়পুর এলাকায়।
তরুণীর দাদু বলেন, ‘‘আমি বাড়িতে ছিলাম। পাড়ার একটি ছেলে এসে বলল দ্রুত থানায় যেতে। থানায় গিয়ে দেখি, নাতনি বসে আছে। ঘটনা শুনে অফিসারকে বললাম, যা করলে ভাল হয়, করুন।’’ পাণ্ডুয়ার প্রাক্তন বিধায়ক তথা স্থানীয় সিপিএম নেতা আমজাদ হোসেন বলেন, ‘‘তৃণমূলের যুব নেতা তরুণীকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে শুনেছি। এলাকার লোকজন তরুণীকে উদ্ধার করেছেন। তৃণমূলের লোকেরা সারা রাত চেষ্টা করেছেন, যাতে মেয়েটির পরিবার অভিযোগ করা থেকে বিরত তাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেনি। তরুণীর পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ অভিযুক্ত নেতাকে গ্রেফতারও করেছে। পুলিশ ভাল কাজ করেছে। আসলে দুষ্কৃতীরাই এখন তৃণমূলের নেতা হয়েছেন। এতে যা হওয়ার তাই হচ্ছে।’’
তৃণমূলের পাণ্ডুয়া ব্লক সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘‘কেউ যদি অপরাধ করে থাকে, তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। মোমিন বছরখানেক আগে যুব সভাপতি হয়েছেন। কিন্তু দল ওঁকে বহিষ্কার করবে।’’ অভিযুক্ত তৃণমূল যুব নেতার অবশ্য দাবি, তিনি নির্দোষ। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।
অপহরণ এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূলের যুব নেতা মোমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়। অভিযোগ, এর আগে ক্ষীরকুন্ডিতে এক ব্যক্তির দোকান জোর করে দখল করে পার্টি অফিস করেছিলেন মোমিন। জানা গিয়েছে, মোমিন গ্রেফতার হতেই দোকান নিজের দখলে নিয়েছেন ওই ব্যক্তি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy