—প্রতীকী চিত্র।
দু’দিন পার। ব্যান্ডেলের নিউ কাজিডাঙায় লালবাবু গোয়ালা খুনের কারণ নিয়ে শুক্রবার পর্যন্ত পুলিশ ধন্দে। তবে, দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পরে লালবাবুর কলেজ পড়ুয়া ভাইপোকে গ্রেফতার করে এ দিন চুঁচুড়া আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালত ধৃতকে ১২ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, লালবাবুর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সন্তান সাহেবের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতেই কলেজ ছাত্র ওই তরুণকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘কী কারণে, কে বা কারা খুন করল তা এখনও স্পষ্ট নয়। ধৃতকে পুলিশ হেফাজতে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পারিবারিক অশান্তি ছাড়া অন্য কোনও কারণ খুনের পিছনে রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
তদন্তকারীরা জানান, লালবাবুর পিঠে গুলি করা হয় ওয়ান শটার রিভলভার থেকে। গুলি পিঠ দিয়ে ঢুকে বুক দিয়ে বেরিয়ে যায়। খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
ধৃতের দিদিমা এ দিন কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁর দাবি, নাতি নির্দোষ। খুনের ঘটনার সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগসাজশ নেই। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, খুনের ঘটনায় জড়িত সাহেব ও তাঁর ভাই অতুল। বাবার অত্যাচার দু’জনে সহ্য করতে না পেরে খুন করিয়েছে।
তা হলে, ভাইপোর নামে অভিযোগ কেন?
ধৃতের দিদিমার দাবি, ‘‘লালবাবুর ছেলেরা কম বয়সেই পড়াশোনা ছেড়েছে। আমার নাতি পড়াশোনা করে বড় হচ্ছে। ওদের সেটা সহ্য হয়নি। তাই ওরা বাবাকে পরিকল্পনামাফিক খুন করে নাতিকে ফাঁসিয়েছে। আইনের উপরে ভরসা আছে। সত্যের জয় হবেই।’’
এ দিনও লালবাবুর পরিবারের লোকেরা কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। বাড়িতে গেলে মহিলারা কথা বলতে চাননি। সাহেব ঘরে নেই এবং অতুল ঘুমোচ্ছে, ডাকা যাবে না বলে তাঁরা দরজা বন্ধ করে দেন।
নিহত লালবাবু কলকাতা পুরসভার কর্মী ছিলেন। জমির কারবারও করতেন। প্রতিদিনের মতোই পুরসভায় কাজ সেরে বুধবার সন্ধ্যায় ট্রেনে ব্যান্ডেলে নামেন। তার পরে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে গুলিতে খুন হয়ে যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy