গোপন সূত্রে এই খবর পেয়ে কাপাসডাঙায় অভিযান চালিয়েছিল চুঁচুড়া থানার পুলিশ। তার পর গ্রেফতার হন ওই ব্যক্তি। —নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যের একাধিক জায়গায় পর পর বাজি বিস্ফোরণের ঘটনায় অবৈধ বাজি কারখানায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। জায়গায় জায়গায় চলছে বাজি, বাজির মশলা উদ্ধার এবং ধরপাকড়। তখনই শ্যালকের বাজি কারখানায় তৈরি বাজি নিজের বাড়িতে রাখার জন্য ফাঁপরে পড়লেন জামাইবাবু। জামাইষষ্ঠীর দিন, বৃহস্পতিবার চুঁচুড়ার কাপাসডাঙার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার ২০০০ কিলোগ্রাম বাজি-সহ গ্রেফতার হন তিনি।
প্রচুর বাজি মজুত করা রয়েছে একটি বাড়িতে, গোপন সূত্রে এই খবর পেয়ে কাপাসডাঙায় অভিযান চালিয়েছিল চুঁচুড়া থানার পুলিশ। নেপাল চৌধুরী মাঠের সামনে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ হাজার কিলোগ্রাম শব্দবাজি উদ্ধার হয়। ওগুলো বেআইনি বাজি বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় বাড়ির মালিক প্রণব দত্তকে গ্রেফতার করা হয়।
তবে পুলিশের কাছে প্রণবের দাবি করেন, ওই বাজি তাঁর নয়। তাঁর শ্যালক বাপ্পাদিত্য নাথ গাড়ি ভর্তি করে ওই বাজি পাঠিয়েছিলেন তাঁর কাছে রাখার জন্য। চণ্ডীতলা বেগমপুর এলাকায় বাপ্পার বাজি কারখানা রয়েছে বলে জানান তিনি। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার সকালেই গাড়ি করে বাজি নিয়ে আসা হয় চুঁচুড়ার কাপাসডাঙায়।
সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনার পর একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। হুগলি গ্রামীণ পুলিশ এবং চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকেও অভিযান চলছে। ইতিমধ্যে হুগলি থেকে প্রায় এক হাজার কিলোগ্রাম বেআইনি বাজি মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এ ছাড়া চুঁচুড়ার কামারপাড়া এলাকা থেকে বাজি উদ্ধারের ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy