Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Pandua

মালিকের ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণের টাকায় স্বাধীন ব্যবসার ছক! পাণ্ডুয়ায় গ্রেফতার পাঁচ

পুলিশ সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার, ৯ মে পাণ্ডুয়ার সারদাপল্লির বাসিন্দা মনোরঞ্জন সাহার ছেলেকে কাজি মহল্লা মসজিদ সংলগ্ন এলাকা থেকে অপহরণ করে দু’জন। অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

Police arrested 5 for kidnapping case in Pandua

সোমবার ধৃতদের হেফাজতে চেয়ে চুঁচুড়া আদালতে আবেদন করলে বিচারক তাঁদের ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। —প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
পাণ্ডুয়া শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২৩ ১৯:৩৮
Share: Save:

মালিকের মতোই কম্পিউটার সেন্টার খুলে স্বাধীন ব্যবস্থা করতে চান। তাই মালিকেরই আড়াই বছরের ছেলেকে অপহরণ করে ২কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়েছিলেন। এমনই অভিযোগে গ্রেফতার হলেন হুগলির পাণ্ডুয়ার কম্পিউটার সেন্টারের ২ কর্মী-সহ মোট ৫ জন। সোমবার ধৃতদের হেফাজতে চেয়ে চুঁচুড়া আদালতে আবেদন করলে বিচারক তাঁদের ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার, ৯ মে পাণ্ডুয়ার সারদাপল্লির বাসিন্দা মনোরঞ্জন সাহার ছেলেকে কাজি মহল্লা মসজিদ সংলগ্ন এলাকা থেকে অপহরণ করে ২ জন। অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ। তৎপরতার সঙ্গে দুষ্কৃতীদের পিছু ধাওয়া করে অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধার করে তারা। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। পাশাপাশি যে ফোন থেকে ব্যবসায়ীকে ফোন করে মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল, সেই নম্বর ট্র্যাক করে পুলিশ অভিযুক্তদের সন্ধান পায়। তার পরেই পরিষ্কার হয়ে যায় অভিযুক্তদের উদ্দেশ্য।

সোমবার জেলা (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, ‘‘সুমন ধোলে এবং নব্যেন্দু ঘোষ নামে ২ ব্যক্তি মনোরঞ্জন সাহার কম্পিউটার সেন্টারে কাজ করতেন। তাঁরাই পরিকল্পনা করেন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মোটা টাকা হাতাবেন। তার পর ওই টাকায় নিজেরা কম্পিউটার সেন্টার খুলবেন। তাই ছক কষে ব্যবসায়ীর আড়াই বছরের ছেলেকে অপহরণ করেন তাঁরা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সুমন ঘটনার দিন বাড়ি থেকে শিশুকে বাইকে চাপিয়ে ঘোরাতে নিয়ে যান। সেখান থেকে শিশুকে ছিনিয়ে নিয়ে চলে যান ২ জন।’’

রবিবার রাতে পান্ডুয়া থানার পুলিশ অভিযুক্ত সুমন ও নব্যেন্দুকে তাবা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। এ ছাড়া শুভাশিস ত্রিবেদী, রতন ক্ষেত্রপাল এবং সুদীপ ভট্টাচার্যকে নামে ৩ যুবককে হুগলির বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে শিশুটিকে অপহরণ করার সময় ১ মহিলা ছিলেন। তিনি খন্যানের বাসিন্দা শুভাশিসের স্ত্রী সুস্মিতা। এই অপহরণের ষড়যন্ত্রে তিনিও সঙ্গ দেন। তাঁকেও আটক করেছে পুলিশ।

অন্য বিষয়গুলি:

Pandua Kidnapping arrest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE