আদালতের পথে ধৃত। নিজস্ব চিত্র
বিদ্যুৎ চুরি করে মিনি ডিপ-টিউবওয়েল চালিয়ে খেতে জল দেওয়া হচ্ছে, এই অভিযোগ পেয়ে অভিযানে গিয়েছিলেন বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিক এবং কর্মীরা। সেখানে দুই কর্মীকে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠল।
এক আধিকারিককেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে।
শুক্রবার বিকেলে গোঘাটের কোটা মৌজার ঘটনা। কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে বিদ্যুৎ দফতরের আহত দুই কর্মীর প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার গোঘাট-১ ব্লক শাখার স্টেশন ম্যানেজার দিব্যেন্দু মণ্ডল গোঘাট থানায় তাঁকে হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেছেন সন্ন্যাসী ঘোষ নামে এক চাষি, তাঁর ভাই সমীর ঘোষ-সহ চার জনের বিরুদ্ধে। পুলিশ ওই রাতেই সন্ন্যাসীকে গ্রেফতার করে। বাকিরা পলাতক বলে পুলিশ জানায়। শনিবার ধৃতকে আরামবাগ আদালতে তোলা হলে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। দিব্যেন্দুবাবু বলেন, “বিদ্যুৎ সংযোগ কাটতে পারলেও অশান্তির জেরে চুরির সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা যায়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সব জানিয়েছি।’’
বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রচুর টাকা বিল বকেয়া থাকায় ২০১৬ সালে সন্ন্যাসীর মিনি ডিপ-টিউবওয়েলের সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছিল। সেই টাকা মেটানো দূর, বিদ্যুৎ চুরি করে ওই যন্ত্র চালানোর অভিযোগ মেলে সন্ন্যাসী এবং সমীরের বিরুদ্ধে। বকেয়া আদায় করতে গিয়ে তাঁদের দেখা না-মেলায় ফিরে আসতে হয় বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীদের।
ওই দু’জনের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ চুরি করে মিনি ডিপ-টিউবওয়েল চালানোর অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ দিব্যেন্দুবাবু দফতরের কর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। দিব্যেন্দুবাবুর দাবি, ‘‘আগে যত বার অভিযান হয়েছে, এলাকার জমিতে জল দেখতে পেলেও বিদ্যুৎ চুরির সরাসরি প্রমাণ মেলেনি। কোনও ভাবে খবর পেয়ে সব সরিয়ে ফেলা হয়েছিল।’’ তাঁর অভিযোগ, এ দিন হুকিংয়ের প্রমাণ হাতেনাতে পেয়ে সেই সংযোগ কেটে ফেলা হয়। তার-সহ সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করার সময় দুই কর্মীকে মারধর করা হয়। তাঁকেও হেনস্থা করা হয়।
অভিযুক্ত চাষি পরিবারের লোকেদের দাবি, পুরনো বিল বকেয়া থাকলেও বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ মিথ্যা। রাজস্ব আদায়ের নামে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা অন্যায় ভাবে মিনি ডিপ-টিউবওয়েলের নানা সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করতে চাইলে বাধা দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy