বেহাল: এ ভাবেই ভেঙে গিয়েছে সাঁকো। নিজস্ব চিত্র
বহু আবেদন-নিবেদনেও গ্রামের মধ্য দিয়ে যাওয়া রণের খালের শাখার উপরে কংক্রিটের সেতু হয়নি। যাতায়াতে দু’পারের মানুষের ভরসা ছিল বাঁশের সাঁকো। সেই সাঁকোও বেশ কিছু দিন হল ভেঙে গিয়েছে। ফলে, জাঙ্গিপাড়ার কুলাকাশ গ্রামের বাসিন্দাদের খাল পেরোতে হচ্ছে এক কিলোমিটার দূরে গোবিন্দপুর গ্রাম দিয়ে। দিন কয়েক আগে রাতে ভাঙা সাঁকো দিয়ে যেতে গিয়ে এক জন খালে পড়ে যান। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করেন।
রণের খালের ওই শাখা সেচ দফতরের খাতায় ডি-২ নামে পরিচিত। গোবিন্দপুরে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, প্রাথমিক স্কুল বা অন্য প্রয়োজনে খাল পেরোতে হয় দিলাকাশ পঞ্চায়েতের কুলাকাশ গ্রামের বাসিন্দাদের। সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় তাঁরাসমস্যায় পড়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা তাপস মাহিন্দার জানান, মাস কয়েক আগে প্রশাসনের তরফে গ্রামে এসে কংক্রিটের সেতুর জন্য সমীক্ষা করা হয়। ফলে, সেতুর কাজ শীঘ্রই শুরু হবে বলে আশায় ছিলেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু এখন প্রশাসনের কোনও উদ্যোগ চোখে না-পড়ায় তাঁরা হতাশ। তাপস বলেন, ‘‘খালে সারা বছর জল থাকে। সাঁকো দিন দশেক আগে ভেঙে গিয়েছে। দু’পারের মানুষ প্রায় বিচ্ছিন্ন। রোদ, বৃষ্টির মধ্যে ছাত্রছাত্রী থেকে বয়স্ক মানুষ— সবাইকেই এক কিলোমিটার ঘুরে গোবিন্দপুর হয়ে যেতে হচ্ছে।’’
হুগলি জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ছোট হলেও কংক্রিটের সেতু তৈরিতে যে পরিমাণ টাকা লাগবে, তা পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষে জোগাড় করা অসম্ভব। জেলা পরিষদের বৈঠকে বিষয়টি তুলব।’’ স্থানীয় এক মহিলা বলেন, ‘‘আমাদের এলাকার বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী। অথচ, গ্রামে একটা সেতু তৈরি করা হচ্ছে না। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। আমরা তাঁর কাছেওদরবার করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy