হাওড়া স্টেশনে যাত্রী বিক্ষোভের জের। — নিজস্ব চিত্র।
সময়ে ট্রেন না পেয়ে হাওড়া স্টেশনে যাত্রী বিক্ষোভ। বিক্ষোভের জেরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি স্টেশনের নিউ কমপ্লেক্সে। কাচ ভাঙল অনুসন্ধান অফিসের। মেঝেতে ছুড়ে ফেলা হল ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড। শেষ পর্যন্ত অকুস্থলে এসে রেলের আধিকারিকেরা ক্ষুব্ধ যাত্রীদের পরিবর্তিত সময়সূচি জানান। তার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।
বারবিলগামী জনশতাব্দী এক্সপ্রেসের হাওড়া থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল সকাল ৬টা ২০মিনিটে। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও ট্রেনের দেখা নেই। রেলের তরফে কিছু জানানোও হয়নি। ফলে আতান্তরে পড়েন বহু যাত্রী। তাঁরা বার বার অনুসন্ধান অফিসে গিয়ে খোঁজখবর করতে থাকেন। কিন্তু অনুসন্ধান অফিসও ট্রেন কখন ছাড়বে তা জানাতে পারেনি। এক সময় ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে যাত্রীদের। অনুসন্ধান অফিসের কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বেশ কয়েক জন যাত্রী। বচসা গড়ায় ধস্তাধস্তিতে। তাতে ভেঙে যায় অনুসন্ধান অফিসের কাচ। সেখানে থাকা ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয় মেঝেয়। অবস্থা দেখে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে চলে আসেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আধিকারিকেরা। তাঁরা এসে ট্রেন কখন ছাড়বে, তা জানান যাত্রীদের। তার পরেই আস্তে আস্তে থিতিয়ে আসে বিক্ষোভ। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সিনিয়র ডেপুটি ডিসিএম (খড়্গপুর) জানান, ট্রেনের ‘রেক প্লেসমেন্ট’ করতে দেরি হয়েছে। তার জেরেই সমস্যা। তিনি মেনে নিয়েছেন, সেই কারণেই যাত্রীরা ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন।
ঠিক কী কারণে ট্রেন ছাড়তে এতটা বিলম্ব হল, তা জানতে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর। সেই রিপোর্ট পেলে ট্রেন ছাড়তে দেরি হওয়ার আসল কারণ জানা যাবে। সকাল ১০টা নাগাদ জনশতাব্দী এক্সপ্রেস হাওড়া স্টেশনের ২০ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে গন্তব্যের দিকে ছেড়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy