ডিজের বদলে পান্ডুয়ার পুজো মণ্ডপে অন্য বাজনা। নিজস্ব চিত্র।
কালীপুজো পেরিয়ে গেল। অথচ, ডিজে-র তাণ্ডবে অস্থির হতে হল না পান্ডুয়াবাসীকে। সব দেখেশুনে হুগলির এই জনপদের অনেক বাসিন্দা পুজোর উদ্যোক্তা এবং পুলিশ-প্রশাসনকে ধন্যবাদ দিচ্ছেন।
পান্ডুয়ায় কালীপুজো বিখ্যাত। এখানে কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে ৬০-৬৫টি পুজো হয়। কেন্দ্রীয় কমিটির অধীনে রয়েছে ৪৭টি পুজো। এলাকাবাসীর অভিজ্ঞতা বলছে, এক সময় কার্যত সব পুজোতেই তারস্বরে ডিজে বাজত। পুজোর দিনগুলিতে ডিজের উৎপাতে নাজেহাল হতে হত। ভাসানের শোভাযাত্রার সময়েও একই অবস্থা হত। গত কয়েক বছর ধরে পুলিশ-প্রশাসন এবং কেন্দ্রীয় কমিটি ডিজে-র বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেয়। গত বছর ৪টি পুজো কমিটির বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। কেন্দ্রীয় কমিটিও ব্যবস্থা নেয়। তাদের দাবি, ডিজে বাজানো হবে না, এই শর্তে এ বার ওই পুজোগুলিকে অনুমতি দেওয়া হয়।
এ বার ডিজে বন্ধে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মকর্তারা আগেভাগেই বারোয়ারিগুলিকে সতর্ক করে দেন। অন্যথায় মামলা করা হবে বলে জানানো হয়। যাঁরা ডিজে ভাড়া দেন, তাঁদের ডেকেও পুলিশের তরফে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়। এর ফল হিসেবেই এ বার কোনও জায়গাতেই ডিজে বাজেনি বলে তাদের দাবি।
কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি তথা পান্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘‘পুজো মণ্ডপে শব্দ ছিল নিয়ন্ত্রণে। কমিটিগুলি আমাদের আর্জি মেনেছে। ওদের ধন্যবাদ।’’ অনিমেষ ঘোষ নামে পান্ডুয়ার এক মাইক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘কয়েকটি পুজো কমিটি ডিজে বক্স ভাড়া নিতে চেয়েছিল। পুলিশের কথা মেনে দিইনি।’’
গত বছর ডিজে বাজানোর অভিযোগে যে পুজোগুলির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল, তাদের সদস্যদের দাবি, এ বার ডিজে-র বদলে অল্প আওয়াজে ছোট বক্সে গান বাজানো হয়েছে। রবিবার, বিসর্জনে বাজনা বাজানো হয়েছে। সবুজ সঙ্ঘের সম্পাদক শানু চক্রবর্তী বলেন, ‘‘দর্শনার্থীদের আনন্দ দিতে বাজনা বাজিয়েছি। মাইক বেজেছে
অল্প আওয়াজে।’’
জে না বাজলেও কোথাও কোথাও মাইক-বক্স চড়া সুরে বেজেছে বলে অভিযোগ। পান্ডুয়ার এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, ‘‘এ বার ডিজে-র তাণ্ডব থেকে মুক্তি মিলেছে। কয়েকটি জায়গায় মাইক জোরেই বেজেছে। এ দিকটা একটু লক্ষ্য রাখার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করছি।’’
পান্ডুয়া ডিজেমুক্ত হলেও হুগলির গ্রামাঞ্চলে কিছু জায়গা থেকে কালীপুজোর বিসর্জনে ডিজে বাজার অভিযোগ মিলেছে। চণ্ডীতলার বনমালীপুরে রবিবার ডিজে বেজেছে। চণ্ডীতলায় নার্সিংহোমের সামনে দিয়ে জোরে বক্স বাজিয়ে বিসর্জনের শোভাযাত্রা গিয়েছে। এখানকার মশাটেও ডিজে বেজেছে। একই অভিযোগ শোনা গিয়েছে হরিপালের দলপতিপুর, সিঙ্গুরের
বারুইপাড়া থেকেও।
(তথ্য সহায়তা: দীপঙ্কর দে)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy