তৎপর: চলছে সাফাই। নিজস্ব চিত্র
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগে বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জাতীয় সড়ক পরিষ্কার করলেন হাওড়া গ্রামীণের চারটি পঞ্চায়েতের প্রধােনরা। বুধবার রানিহাটি মোড় থেকে সরস্বতী নদীর উপরের সেতুর আগে পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার অংশ জুড়ে চলে সাফাই। তত্ত্বাবধানে ছিলেন সাঁকরাইলের বিডিও নাজিমুদ্দিন সরকার। তিনি বলেন, ‘‘জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষই এই রাস্তা সাফ করেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী যে পথে আসবেন, সেই অংশ নিজেরাই পরিষ্কার করবেন বলে জানিয়েছিলেন সাঁকরাইল ব্লকের আন্দুল, মাশিলা, ধূলাগড় ও কান্দুয়া পঞ্চায়েতের প্রধানেরা। এ দিন আমি তাঁদের কাজে সহযোগিতা করি।’’
নবান্ন থেকে পাঁচলা পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর যাত্রাপথের প্রায় ১৭ কিলোমিটার অংশে রয়েছে এই ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। এর মধ্যেই পড়ছে সাঁকরাইল ব্লকের ওই চারটি পঞ্চায়েত এলাকা। এ দিন সকালে বেলচা, ঝাড়ু নিয়ে রাস্তা ঝাঁট দিতে শুরু করেন পঞ্চায়েত প্রধানরা। আন্দুল ও মাশিলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মানসী চক্রবর্তী ও গোরাই খান বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সব সময় পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার কথা বলেন। তাঁর দেখানো পথেই এই যাত্রাপথ পরিষ্কারের সিদ্ধান্ত।’’ কান্দুয়া ও ধূলাগড়ের পঞ্চায়েত প্রধান অলক দেতি ও তাহেরা লস্করও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর যাত্রাপথ যাতে মসৃণ হয়, সে কারণেই আমাদের এই উদ্যোগ।’’
বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধীরা। সিপিএমের হাওড়া জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নন্দলাল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আসতে এটা চমক ছাড়া আর কিছু নয়। মানুষ যখন কাজ, ঠিক মজুরি পাচ্ছেন না, তখন এই চমকে কোনও কাজ হবে না।’’ বিজেপির রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাই বলেন, ‘‘এ বার তাহলে জাতীয় সড়কের ওই অংশ রোজ সাফাইয়ের দায়িত্ব নিন ওই প্রধানরা। এটারমাধ্যমে সরকারি একটা কার্যক্রমকে দলীয় রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল। বিষয়টি হাস্যকর।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy