Advertisement
E-Paper

Khanakul: বাঁধের জমি দখলের চেষ্টা রুখলেন প্রধান

পুলিশ জানায়, মন্টু মাইতি নামে একজনের বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে গাছ কেটে নির্মাণ প্রক্রিয়ার অভিযোগ ছিল।

জমি দখল থামালেন পঞ্চায়েত প্রধান।

জমি দখল থামালেন পঞ্চায়েত প্রধান।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২২ ০৯:২১
Share
Save

দলেরই এক নেতার মদতে খানাকুলের বন্দর বাজার তথা ফেরিঘাট সংলগ্ন রূপনারায়ণ নদের বাঁধের জায়গা দখল করে নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল বলে অভিযোগ। শনিবার তা রুখে দিলেন তৃণমূল পরিচালিত ধান্যগোড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান বীণাপাণি ভৌমিক।

প্রধান বলেন, “বাঁধে কংক্রিটের ঘর ও দোকান নির্মাণের জন্য একটি বট গাছ কাটা হচ্ছিল। খবর পেয়ে আটকে দিই। তিনি যে-ই হোন, বাঁধ জবরদখল করে এলাকাকে বিপন্ন হতে দেওয়া যাবে না। বিষয়টা সেচ দফতর এবং পুলিশেরও নজরে আনা হয়েছে।”

পুলিশ জানায়, মন্টু মাইতি নামে একজনের বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে গাছ কেটে নির্মাণ প্রক্রিয়ার অভিযোগ ছিল। তা বন্ধ করা হয়েছে। মন্টু এলাকার তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, ‘‘গাছের কিছু ডালপালা কাটার সময় আপত্তি ওঠায় কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। আমার এক দুঃস্থ আত্মীয়ের জন্য ওখানে দোকান নির্মাণ করতে চেয়েছিলাম।” একই সঙ্গে মন্টুর পাল্টা অভিযোগ, “সবই টাকার খেলা। প্রধান-উপপ্রধানকে টাকা দিলেই আর কাজ আটকানো হত না। সেচ দফতর, পূর্ত দফতরের জায়গা বিক্রি করে লুটপাট চালাচ্ছেন ওঁরা।” প্রধান অভিযোগ মানেননি। উপপ্রধান দিলীপ সানকিরও দাবি, “নিজের অপরাধ ঢাকতে মন্টু প্রলাপ বকছেন।’’

ওই পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর রূপনারায়ণের একাধিক জায়গায় বাঁধ ভেঙে তিন দফা বন্যায় বিপর্যস্ত হয়েছে এলাকা। সেনাবাহিনী নামিয়ে হেলিকপ্টারে উদ্ধার কাজ চলে। সম্প্রতি নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ধান্যগোড়ি গ্রামের পোড়েপাড়ার বাঁধে ধস নেমে বাড়ি-ঘর ঝুলছে। জমি জবরদখল করে সেইসব বাড়িঘর তৈরি হওয়াতেই বাঁধ যথাযথ সংস্কার করা যায়নি বলে সেচ দফতরের অভিযোগ। নতুন করে আর যাতে বাঁধ দখল না হয়, তা নিয়ে পঞ্চায়েত সদস্যেরা সতর্ক থাকছেন বলে প্রধান জানান।

মহকুমা সেচ দফতরের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার দীনবন্ধু ঘোষ বলেন, “বিভিন্ন বাঁধে অবৈধ নির্মাণ রুখতে আমরা দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় প্রশাসনগুলির সহযোগিতা চাইছি। অবশেষে সাড়া মিলছে।’’

সেচ দফতর সূত্রের খবর, গোঘাটের বালি গ্রামের শোলপাড়ায় দ্বারকেশ্বর নদের ডান দিকের বাঁধে একটি নির্মাণ বালি পঞ্চায়েত এবং পুলিশের সহযোগিতায় ভাঙা হয়েছে। দ্বারকেশ্বর নদের বাঁ দিকের বাঁধ বরাবর কিছু বেআইনি নির্মাণ সরানো নিয়ে পুরসভার সাড়া মেলেনি বলে দীনবন্ধুবাবুর অভিযোগ।

পুরপ্রধান সমীর ভান্ডারী বলেন, ‘‘জবরদখলকারীদের সঙ্গে কথা বলেছি। কেউ সরতে চাইছেন না। সেচ দফতর উচ্ছেদ অভিযানে উদ্যোগী হলে সহযোগিতা করব।” একইসঙ্গে তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “বাঁধের নির্মাণগুলি রাতারাতি হয়নি। নির্মাণের সময় সেচ দফতর যথাযথ নজরদারি করে আটকালে উচ্ছেদের প্রশ্নউঠত না।”

Rupnarayan River Khanakul

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।